Thank you for trying Sticky AMP!!

তালেবান-চীন সম্পর্ক: স্বীকৃতি না দিয়েও এতটা ‘খাতির’ কেন

তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং

আগস্টে (২০২১) তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার পর প্রথম দেশ হিসেবে চীন সেখানে জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সৈন্য চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দৈত্যাকার ইগলের মতো ছোঁ মেরে সারা দেশ কবজা করে নেয় তালেবান। ওই সময়ে দেশটিতে ছিল চরম খাদ্যসংকট। আর কোভিড পরিস্থিতিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতায় বড় ধরনের সংকটে পড়ে তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এমনিতেই আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব নাজুক। এর ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপিয়ে দেওয়া অবরোধ। বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট আশরাফ গনি সরকার আমলের যে অর্থসম্পদ ছিল, সেগুলো ওই সব দেশের সরকার জব্দ করে রেখেছে, যাতে তালেবান সরকার তা হাতে না পায়।

দুই দশকের যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি পুরোপুরি বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। গনি সরকারের বাজেটের চার ভাগের তিন ভাগ ছিল বিদেশি সহায়তাপুষ্ট।

এখন পশ্চিমাদের সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আফগানিস্তান এখন হাত পেতে আছে চীন, পাকিস্তান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে। এ মুহূর্তে অনাবৃষ্টিতে ফসলহানিতে সৃষ্ট খাদ্যসংকটের পাশাপাশি তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে আফগানবাসী। অনেক জায়গায় মানুষজন দিনে একবেলা খেয়ে দিনাতিপাত করছে।

এমন সংকটকালে চীনের কাছ থেকে ৩১ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা তালেবানের জন্য অনেক বড় কিছু। এরই মধ্যে চীন প্রতিশ্রুত সহায়তার অর্ধেক আফগানিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

মানবিক সহায়তার পাশাপাশি চীন তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আগস্টের পর থেকে দুই পক্ষই বৈঠক করেছে একাধিকবার। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর কাবুলে চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইয়ু তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এসব আলোচনায় বারবার এসেছে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের বিষয়। একই সঙ্গে চীন পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ প্রত্যাহার, বিদেশে আফগানিস্তানের জব্দ করে রাখা সম্পদ অবমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে চলেছে।

এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চীনের সি চিন পিং সরকার ও তালেবান সরকার কাছাকাছি এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্র ও সরকার যখন তালেবান সরকারকে ‘একঘরে’ করে দিয়েছে, তখন বেইজিংয়ের এমন উদ্যোগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। তালেবানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের সূচনা অবশ্য ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের মধ্যস্থতায়।

অবশ্য চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। চীন কেন, বিশ্বের কোনো দেশই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, এমনকি তালেবানের পিতৃভূমি হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানও নয়।

তালেবানকে কেউ স্বীকৃতি দিচ্ছে না—এটা যেমন ঠিক, স্বীকৃতি না দিয়েও সম্পর্ক রাখা হচ্ছে, সেটাও ঠিক। তালেবানকে স্বীকৃতি না দিয়েও চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তবে কাবুলে চীনের দূতাবাস খোলা আছে এবং সেখানে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও গত ৩০ নভেম্বর কাবুলে দূতাবাস চালু করেছে। দূতাবাস চালু করাও একধরনের স্বীকৃতি বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।

খনিজ সম্পদে আগ্রহ

এ মুহূর্তে খাদ্য, শীতবস্ত্র, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে টিকার মতো মানবিক সহায়তা দেওয়াই তালেবান সরকারকে চীনের প্রধান সহায়তা। এর বাইরে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন নির্মাণ প্রকল্পে তহবিল দিয়েছে চীন। কোভিডের আগে দেশটি আবাসন ও ফাইবার অপটিক লাইন স্থাপনের মতো ছোট প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।

জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের মাটির নিচে বহু মূল্যবান খনিজ সম্পদ পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সে দেশে নাকি এমন বিরল খনিজ সম্পদ রয়েছে, যেগুলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট আর এলইডি স্ক্রিন শিল্পের জন্য জরুরি। কম্পিউটার চিপের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনে এখনো তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া অনেক এগিয়ে আছে। চীন তাদের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করছে।
তাই চীন অনেক বছর ধরে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য খনিজ সম্পদ আহরণে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত সরকারের সঙ্গেও কাজ করেছে চীন। ২০০৮ সালে লোগার প্রদেশে মেস আয়নাক কপার মাইন ৩০ বছরের জন্য চীনের মেটালার্জিক্যাল গ্রুপের কাছে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নিরাপত্তা হুমকির কারণে এ প্রকল্প নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি দেশটি। বেইজিং জানে, এ রকম বড় প্রকল্পে নামতে হলে আগে দরকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আর সঠিক অবকাঠামো।

জিনজিয়াং নিয়ে চিন্তায় চীন

এখন যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত সরকারের পতনের পর তালেবানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠভাবে ও ‘গোপনে’ কাজ করা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আফগানিস্তানে বেইজিংয়ের আগ্রহকে দুটি প্রেক্ষাপট থেকে বিশ্লেষণ করা যায়। এক, জিনজিয়াংসহ চীনের পশ্চিম ফ্রন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাওয়া। দুই, মধ্য এশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে যাওয়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত মাত্র ৭৬ কিলোমিটারের। সেখান থেকে অল্প দূরেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের করিডোর, পাকিস্তান যে প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেইজিং সন্ত্রাস, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদ—এই তিনটি ‘এভিল’কে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। চীন সরাসরি তালেবানকে বলেছে ওই অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সংস্রব ত্যাগ করতে, বিশেষ করে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ মুছে ফেলতে। চীন চায়, তালেবান এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে, যাতে আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস ও জিনজিয়াংয়ে ‘চরমপন্থা’র বিস্তার না ঘটে। একই সঙ্গে মাদকের পাচার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে রেখেছে চীন। যদিও মাদক বিক্রির আয় থেকে তালেবান তাঁর খরচের বড় একটি অংশ পরিচালনা করে, এমন কথা প্রচলিত আছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর কাবুলে আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে চীনা প্রতিনিধিদলের বৈঠক

২০১৩ সালের পর চীন মধ্য এশিয়া ও পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। চীন সব সময় আতঙ্কে থাকে কখন সন্ত্রাসীরা এসব প্রকল্পের স্থাপনায় এবং নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।

তালেবান যদিও চীনা বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারপরও চীন সন্দিহান। কারণ, অন্য গোষ্ঠীগুলো থেকে আসা হুমকি যথেষ্ট পরিমাণে রয়ে গেছে। গত অক্টোবরেও ইসলামিক স্টেট খোরাসান কুন্দুজের একটি মসজিদে বোমা হামলা চালায় বেইজিংয়ের সঙ্গে তালেবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিবাদে, যেহেতু চীন তাদের ভাষায় জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানদের ওপর চরম নিপীড়ন চালাচ্ছে। সেখানে ১০ লাখ মানুষকে চীন সরকার বন্দী করে রেখেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রকৃত চিত্রটি জানা যায় না। তাই এটা বলা যায় যে চীনা প্রকল্প ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে চীন আফগানিস্তানে বড় আকারে ব্যবসায় নামবে না।

এ ক্ষেত্রে তালেবান কী করতে পারে? তালেবান একটা কাজ করতে পারে, যেটা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান চীনা স্থাপনায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স বা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। আরেক বিকল্প রয়েছে, সেটা হলো চীনা বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ফোর্স নিয়ে আসা। ওই অঞ্চলে কিছু দেশ তা করেছে।

এখন তালেবান সরকার বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে চীন। কারণ, চীন একা নিজের কাঁধে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিতে চায় না। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবান প্রশাসনের সম্পর্কও দেশটি বিবেচনায় নিচ্ছে।

অতীতে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে মতপার্থক্য নিরসনে বেইজিং ভূমিকা রেখেছে, আবার তালেবানের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও পাকিস্তান কাজ করেছে। অপর দিকে যতই মতপার্থক্য থাকুক, আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার ‘হটবেড’ হয়ে উঠুক, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কেউই তা চায় না। কারণ, এখন কোভিড পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলের সব দেশই তাদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে এলে সীমান্ত খুলে যাবে, তখন নতুন করে নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এমনটা বলা হচ্ছে।

‘খাতির’ যে কারণে

ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বের নানা জায়গায় যুদ্ধে বিজয়ীরা আফগানিস্তানে এসে পরাজিত হয়েছে। সেই আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন, সর্বশেষে যুক্তরাষ্ট্র—সবাই এখানে পরাজিত হয়েছে। তবে যুদ্ধে জয়ী হওয়া আর দেশ শাসন করা এক নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশ শাসন করাই কঠিন কাজ। চলতি সংখ্যায় ইকোনমিস্ট লিখেছে, শিগগিরই তালবান বুঝতে পারবে, যুদ্ধে জয়ী হওয়ার চেয়ে দেশ শাসন করা কঠিন।

আফগানিস্তানে তালেবানের পুরোনো নেতৃত্ব ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন, যাঁরা নারীদের শিক্ষা, চাকরিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে রক্ষণশীল এবং তাঁদের সরকারে সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নেই। এ অবস্থায় চীন তালেবানের সঙ্গে কতটা, কীভাবে যুক্ত হবে, সময়ই তা বলে দেবে। খুব গভীরভাবে চীন আফগানিস্তানে ঢুকে পড়বে বলে মনে হয় না।

যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, ‘উন্নয়ন’ই চীনের প্রধান লক্ষ্য। যদি উন্নয়ন কিছুটা অর্জিত হয়, বেকার আফগানরা যদি কিছুটা চাকরি পায়, আয়–উন্নতি বাড়ে, তাহলে বিশৃঙ্খলা কমতে পারে বলে তাদের ধারণা।

কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, পুরো মধ্য এশিয়ায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠায় চীনের যে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য, তা অর্জনে তাদের ভাষায়, আফগানিস্তানে ন্যূনতম স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব জরুরি। এ কাজে পাকিস্তানের পুরোপুরি সহায়তা পাবে চীন। কারণ, আফগানিস্তান পুনরায় উচ্ছন্নে চলে যাক, দুই দেশের কেউই তা চায় না। আর এ কারণেই কি এতটা ‘খাতির’?

অধ্যাপক ইমতিয়াজের অভিমত

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ

স্বীকৃতি না দিয়েও চীন কেন তালেবান প্রশাসনকে ‘খাতির’ করছে, এমন প্রশ্ন রেখেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের কাছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই গবেষক বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার পর তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে চীন, রাশিয়া, ইরানের সম্পর্ক ভালো হওয়ার কথা। তবে চীন চাইবে, এই তালেবান যেন আগের তালেবানের মতো না হয়। নিজেদের মধ্যে দৃষ্টিটা সীমাবদ্ধ রাখে।
মানবিক সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করে আফগানিস্তানের জব্দ করা বৈদেশিক তহবিল ছাড় করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, তালেবানকে কেউ স্বীকৃতি দিচ্ছে না—এটা যেমন ঠিক, স্বীকৃতি না দিয়েও সম্পর্ক রাখা হচ্ছে, সেটাও ঠিক। তালেবানকে স্বীকৃতি না দিয়েও চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আফগানিস্তান যেন আগের অবস্থানে ফিরে না যায়, সেটাই চায় চীন, রাশিয়া ও ইরান।