Thank you for trying Sticky AMP!!

পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এলেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা

হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা

প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে। আজ রোববার তালেবান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের দক্ষিণাঞ্চলে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্যও রেখেছেন তিনি। এএফপির খবর।

পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনপুষ্ট প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়। এর মধ্য দিয়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহের ঝোড়ো অভিযানে পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তারা। এরপর নতুন এই শাসকগোষ্ঠী দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ঘোষণা করে। তখন থেকে তাদের অনেক নেতা–কর্মীকে প্রকাশ্যে দেখা গেলেও সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এত দিন পর্দার আড়ালেই ছিলেন।

আখুন্দজাদার নীরব ভূমিকার কারণে নতুন তালেবান সরকারে তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা মারা গেছেন বলেও গুঞ্জন রটে।
তবে তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, শনিবার দারুল উলুম হাকিমাহ মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন আখুন্দজাদা। সে সময় তিনি তাঁর সাহসী যোদ্ধা ও অনুসারীদের সঙ্গে আলাপ করেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনপুষ্ট প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়। এর মধ্য দিয়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহের ঝোড়ো অভিযানে পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তারা। এরপর নতুন এই শাসকগোষ্ঠী দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ঘোষণা করে। তখন থেকে তাদের অনেক নেতা-কর্মীকে প্রকাশ্যে দেখা গেলেও সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এত দিন পর্দার আড়ালেই ছিলেন।

ওই অনুষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানের কোনো ছবি বা ভিডিও ধারণ করা হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তালেবানের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করা হয়েছে।

আখুন্দজাদাকে আমিরুল মুমিনিন বা বিশ্বাসীদের কমান্ডার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে ধর্মীয় বার্তা প্রচার করেছেন। এ সময় তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। তালেবানের নেতৃত্বে দেশের শাসনকার্য পরিচালনাকালে তিনি দেশবাসীর জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন। বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে তালেবানের ‘বড় পরীক্ষায়’ শহীদ, আহত যোদ্ধা ও ইসলামিক আমিরাতের (আফগানিস্তান) কর্মকর্তাদের সাফল্যের জন্যও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন তিনি।

২০১৬ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় তালেবান নেতা মোল্লাহ আখতার মানসুর নিহত হন। এরপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আখুন্দজাদা। এর আগে তিনি স্বল্প পরিচিত ধর্মীয় নেতা ছিলেন।

তালেবানের শীর্ষ নেতা নিযুক্ত হওয়ার পর আখুন্দজাদা আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির সমর্থন পেয়েছিলেন।

আখতার মনসুর নিহত হওয়ার পর তিক্ত ক্ষমতার লড়াইয়ের ভেঙে পড়া তালেবানকে একত্র করার দায়িত্ব পান আখুন্দজাদা। তিনি বেশির ভাগ সময় কান্দাহারে কাটাতেন বলে মনে করা হয়। তাঁর সর্বশেষ বার্তা ছিল ৭ সেপ্টেম্বর। তিনি কাবুলে নবনিযুক্ত তালেবান সরকারকে শরিয়া আইন সমুন্নত রাখতে বলেছিলেন।