Thank you for trying Sticky AMP!!

ফিরে আসছেন রাজাপক্ষে?

রাজাপক্ষে

আগামী ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর প্রার্থিতার বিষয়টি এ সপ্তাহেই নিশ্চিত করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজাপক্ষেকে পরাজিত করেছিলেন তাঁরই একসময়ের সহযোগী বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। সিরিসেনা ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজাপক্ষের এ জোট থেকে প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। একনায়কোচিত শাসনের জন্য সমালোচিত রাজাপক্ষে আবার ইউপিএফএ জোটের প্রার্থী হওয়ায় সিরিসেনার সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সিরিসেনা ক্ষমতাসীন দল এসএলএফপি ও এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএফএ জোটের নেতৃত্ব নেন। তবে জোটের ভেতরের চাপের কারণে রাজাপক্ষেকে প্রার্থী করতে বাধ্যই হন। জোটে এখনো প্রভাবশালী রাজাপক্ষের সমর্থক অনেক। অনেক নেতাই চান তাঁকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সিরিসেনা জোটে তাঁর অবস্থান শক্ত করতে সব উপদলের সঙ্গেই সমঝোতা করে চলার নীতি নিয়েছেন।
দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে রাজাপক্ষের নাম বলতে রাজি হননি সিরিসেনা। তবে অনুসারীরা নিশ্চিত, নির্বাচনে রাজাপক্ষে ও তাঁর সমর্থক প্রার্থীরা ব্যবধানে বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতেই পারেন। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে রাজাপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন কুরুনেগালা আসন থেকে। এটি শ্রীলঙ্কার তৃতীয় বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা। বরাবর রাজাপক্ষে দক্ষিণের শহর হাম্বানটোটা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। কুরুনেগালার জনসংখ্যা ২৬ লাখ। এর চেয়ে হাম্বানটোটার জনসংখ্যা অনেক কম। প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার জন্য রাজাপক্ষেকে বিপুল ভোটে জিততে হবে। হাম্বানটোটায় এত ভোট নেই। আবার কুরুনেগালায় অনেক সেনা পরিবারের বসবাস। সেটি রাজাপক্ষেকে সহায়তা করতে পারে।
রাজাপক্ষেকে এভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সিরিসেনার সমর্থকেরা বেশ ক্ষুব্ধ। সিরিসেনাকে তাঁরা ‘বেইমান’ বলতে পর্যন্ত ছাড়ছেন না। নাগরিক অধিকারকর্মী সামান রত্নপ্রিয়া বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ রাজাপক্ষেকে ফিরিয়ে এনে সিরিসেনা এই দুর্নীতিবাজকে আমরাই ভোট দিয়ে হারিয়েছিলাম।’
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা অবশ্য গত ৮ জানুয়ারির ‘নীরব ভোটবিপ্লবের’ মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষে পরিবারের শাসনের অবসান ঘটে। সূত্র: বিবিসি