Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রহ্মপুত্রে টানেল তৈরির প্রতিবেদন 'বানোয়াট', বলল চীন

বাংলাদেশের অনেক অংশেই ব্রহ্মপুত্র নদের এমন অবস্থা। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সরিয়ে নিতে চীন পরিকল্পনা করছে—এমন প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ বলে মঙ্গলবার দাবি করেছে দেশটি।

সোমবার হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর খবরে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আটকাতে নতুন ফন্দি আঁটছে চীনের ক্ষমতাসীন সি চিন পিং সরকার। তিব্বতের মধ্য দিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসা ব্রহ্মপুত্রের পানি টানেল তৈরি করে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে চীন। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের কাছাকাছি তিব্বতের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে চীন তাদের শুষ্ক জিনজিয়ং অঞ্চলে পানি সরবরাহের জন্য এক হাজার কিলোমিটারের টানেল বা সুড়ঙ্গ খননের পরিকল্পনা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের প্রকৌশলীরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ তৈরির কৌশল নিয়ে কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চিনইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটি সত্য নয়। প্রতিবেদনটি মিথ্যা।’

প্রসঙ্গত, ব্রহ্মপুত্রে চীনের একাধিক বাঁধ তৈরি করা নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন ভারত। বেইজিং বরাবরই ভারত ও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে যে তাদের বাঁধগুলো নদীর পানি ধরে রাখার জন্য নয়।

হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। চীনে যাকে ইয়ারলুং/সাংপো নামে ডাকা হয়। এবার এই নদের পানির গতিপথ পাল্টে দিতে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চীন। এক হাজার কিলোমিটারের টানেল খুঁড়ে তারা তিব্বত থেকে এ নদের পানি উত্তরে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে নিয়ে আসতে চাইছে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গ দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম স্থান থেকে পানি নিচে পড়বে। বেশ কয়েকটি ঝরনা তৈরি হবে।

এর আগে চীন বলেছিল, ইয়ারলাঙ্গ ঝাঙ্গবো (তিব্বতে এই নামেই পরিচিত ব্রহ্মপুত্র) নদীর উপনদীর ওপর বেইজিং বাঁধ তৈরি করবে। লালহো নামে এই প্রকল্পে ব্রহ্মপুত্রের উপনদী জিয়াবুকুকে আটকে বাঁধ গড়া হবে। শুধু ব্রহ্মপুত্রের উপনদের ওপর লালহো প্রকল্প করেই ক্ষান্ত থাকবে না চীন। চীনের দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্রের মূল প্রবাহে আরও তিনটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।