Thank you for trying Sticky AMP!!

মিয়ানমারে ৪৩ শিশুকে হত্যা করেছে জান্তা

জান্তার গুলিতে পরিবারের সদস্য হারিয়ে কাঁদছে এক শিশু। ২৭ মার্চ, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে

মিয়ানমারে চলমান সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে জান্তা সেনা-পুলিশের গুলিতে অন্তত ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, জান্তার গুলি থেকে দেশটিতে সাত বছরের শিশুও রক্ষা পায়নি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। বসে নেই জান্তা সরকারও। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমাতে জান্তা সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে। প্রতিদিনই মিয়ানমারের রাজপথে ঝরছে রক্ত।

দুই মাসের বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৫৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকার সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। এর মধ্যে গত শনিবার এক দিনেই নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। আটক হয়েছেন তিন সহস্রাধিক।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেন মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি বলছে, জান্তা সেনা-পুলিশের গুলি থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। অন্তত ৪৩ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

মার্চের শেষভাগে দেশটির মান্দালয় শহরে নিহত হয় খিন মায়ো ছিট। সাত বছরের এই শিশু বাবার সঙ্গে বাড়িতেই ছিল। হঠাৎ বাড়িতে হাজির হয় জান্তা। তল্লাশির সময় জান্তার ভয়ে বাবার সঙ্গে নিরাপদ জায়গায় ছুটে যাচ্ছিল খিন মায়ো। ওই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে প্রাণ হারায় সে।

মান্দালয়ে বাড়ির পাশেই ১৪ বছরের এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করে সেনারা। ইয়াঙ্গুনে ১৩ বছরের এক শিশু পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। ওই সময় সে বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলছিল। গত দুই মাসে পুরো মিয়ানমারে এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে।

বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন সতর্ক করে জানিয়েছে, রক্তপাতের এসব ঘটনা মিয়ানমারের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শিশুরা হিংস্রতা ও ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তারা ভয় ও উদ্বেগে ভুগতে পারে। মিয়ানমার এখন আর শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।

এদিকে ‘মিয়ানমারে রক্তগঙ্গা আসন্ন’ মন্তব্য করে তা এড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন সংস্থাটির বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শানার বার্গেনার। গতকাল বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয়। দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কেবল খারাপের দিকেই যাবে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন তীব্র হওয়ায় মিয়ানমারে একটি রক্তগঙ্গা আসন্ন হয়ে উঠেছে।

Also Read: মিয়ানমারে রক্তগঙ্গা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিন: জাতিসংঘের দূত

Also Read: সুস্থ আছেন সু চি, জানালেন আইনজীবী