Thank you for trying Sticky AMP!!

রাশিয়া থেকে চীন আট মিনিটে

রাশিয়া–চীনের সীমান্তের মধ্যকার ক্যাবল কার। ছবি: সিএনএন

রাশিয়া ও চীনের মধ্যে যাতায়াতে একটি কেব্‌ল কার তৈরি হচ্ছে শিগগিরই। এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এই কেব্‌ল কারে করে মাত্র আট মিনিটেই রাশিয়া থেকে চীন যাতায়াত করা যাবে। এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশের মধ্যে চলাচলকারী প্রথম আন্তসীমান্ত কেব্‌ল কার।

এই কেব্‌ল কারটি রাশিয়ার দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় ব্লাগোভেশচেনস্ক ও চীনের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় হেইহে শহরের মধ্যে চলাচল করবে। দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার। ভ্রমণের সময় কেব্‌ল কারের যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় ও নদীর অপরূপ সৌন্দর্য। কেব্‌ল কারটি আমুর নদীর ওপর দিয়ে যাত্রীদের পাখির চোখে দেখার স্বাদ দেবে দুটি দেশের সৌন্দর্য। রাশিয়া-চীন সীমান্তের ওই নদীটি শীতের সময় বরফে ঢাকা থাকে। যা এক অপরূপ দৃশ্য সৃষ্টি করে।

যাত্রার সময় আট মিনিট বলা হলেও কেব্‌ল কারটি মাত্র সাড়ে তিন মিনিটেই এক শহর থেকে আরেক শহরে পৌঁছাবে। বাকি সময় ব্যয় হবে কারে ওঠা–নামাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজে। একেকটি কেব্‌ল কারে একসঙ্গে ৬০ জন পর্যন্ত চড়তে পারবেন। এর বাইরেও ব্যাগপত্র-লাগেজ নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি ১৫ মিনিট পর পর একটি করে কেব্‌ল কার টার্মিনাল ছাড়বে।

এই আন্তসীমান্ত কেব্‌ল কারের নকশা করেছে নেদারল্যান্ডসের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ইউএনস্টুডিও। এর আগে সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের কেব্‌ল কার যোগাযোগ স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। তারা ব্লাগোভেশচেনস্কে টার্মিনাল তৈরি করছে কয়েক ধাপে। সেখানে আকাশ থেকে আমুর নদী দেখার ব্যবস্থা থাকছে। সঙ্গে থাকছে পাহাড়ের ওপর বিশ্রামের সুব্যবস্থা। তৈরি হচ্ছে সবুজ মালভূমি এবং আধুনিক রেস্তোরাঁ ও স্কাই গার্ডেন। প্রকল্প ব্যবস্থাপক রুশ কোম্পানি স্ত্রেলকা কেবি জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রান্ত থেকে চীনের হেইহে শহরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগের ব্যবস্থা করে নির্মিত হচ্ছে সবকিছু। এই কেব্‌ল কার যাত্রা ২০২০ সাল নাগাদ চালু করা যাবে বলে আশা করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।