Thank you for trying Sticky AMP!!

লোকসভায় তিন তালাকের নতুন বিল আজ

তিন তালাকের বিলে স্বামীর জামিনের বিধান রাখায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় নারীরা। ছবি: রয়টার্স

তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ভারতের লোকসভায় আজ শুক্রবার একটি নতুন বিল পেশ করা হবে। সংসদের উচ্চকক্ষে বাতিল হওয়া বিলটি আজ নতুন করে উপস্থাপিত হবে লোকসভায়।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি পরিচালিত সাবেক জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদে তাৎক্ষণিক তালাক বা তিন তালাকের বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এই অধ্যাদেশকে প্রতিস্থাপন করে নতুন ‘মুসলিম নারী বিল’ (বিয়ে সুরক্ষা অধিকার) প্রস্তাব করা হবে আজ।

এই আইন অনুযায়ী, কোনো মুসলিম পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তিনবার তালাক বলে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটালে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুসলিম নারী বিল লোকসভা অনুমোদন করার পর তা রাজ্যসভায় বিরোধী দলের আপত্তির মুখে ঝুলে যায়। বিরোধী দলগুলো বিলে জামিনের বিধান রাখার কথা বলে। এ বিষয়ে পরবর্তী নীতিনির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠনের দাবি জানায় তারা। তবে সরকার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে। ফলে গত মাসে ষোড়শ লোকসভা বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে মুলতবি থাকা বিলটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাৎক্ষণিকভাবে তিন তালাকের ‘অপরাধে’ কোনো ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলে আগের মতোই তা জামিন অযোগ্য থাকবে। তবে বিচার শুরু হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর ক্ষমতাবলে জামিন দিতে পারবেন। তবে ম্যাজিস্ট্রেট স্ত্রীর শুনানি নেওয়ার পরই কেবল তা প্রযোজ্য হবে। মৌখিক তালাকের কারণে স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে।

কংগ্রেসসহ প্রধান বিরোধী দলগুলো স্বামীর কারাদণ্ড বিধানের বিরোধিতা করেছে। সরকারের দাবি, এই বিল পাস হলে নারীরা সম–অধিকার পাবেন। উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর গত সপ্তাহে বলেন, লিঙ্গ সমতা এবং সরকারের ‘সবার সঙ্গ, সবার বিকাশ, সবার বিশ্বাস’ দর্শন মাথায় রেখেই এই বিল প্রস্তাবিত হচ্ছে।

আইনসভার অনুপস্থিতিতে, নির্বাহী আদেশের বলে তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগে দুইবার নবায়ন করা হয় বিলটি। আইনটির অপব্যবহার বন্ধ করতে বিশেষ ব্যবস্থায় বিচার চলাকালে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়াসহ সরকার প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থা রেখেছে।

সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে ১০টি অধ্যাদেশ পরিবর্তন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে তিন তালাকের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে আইনের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধিবেশন শুরুর ৪৫ দিনের মধ্যে অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হলে অধ্যাদেশটি বাতিল হবে।