Thank you for trying Sticky AMP!!

শেয়ারবাজারে আসার ঘোষণা সৌদি আরামকোর

শেয়ারবাজারে আসার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকো। ছবি: রয়টার্স

২০১৬ সালেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নতুন পথে হাঁটতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো। সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরামকোকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। এবার শেয়ারবাজারে আসার চূড়ান্ত ঘোষণাও দিয়ে দিল সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে শেয়ারবাজারে অভিষেক হতে চলেছে সৌদি আরামকোর। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও (ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং)।

সৌদি মালিকানাধীন চ্যানেল আল-অ্যারাবিয়া আজ রোববার জানিয়েছে, ১০ নভেম্বর সৌদি আরামকো এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপন্থা প্রকাশ করবে। দেশটির রাজধানী রিয়াদের স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষও এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আরামকোর শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে দুই ধাপে কোম্পানির ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়বে কোম্পানিটি। ডিসেম্বরে ২ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার পর আগামী বছর আরও ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে কোম্পানিটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরামকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিন নাসের ঘটনাটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে আরামকোর দুটি স্থাপনায় ড্রোন হামলা কোম্পানিটির শেয়ারের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন তিনি। আরামকো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তেল কোম্পানি, এমনটিও বলেছেন তিনি। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আরামকো জানিয়েছে, ‘আমরা আশা করছি, দুই মাস আগের সেই হামলা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলবে না।’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো। ছবি: রয়টার্স

মূলত যুবরাজ সালমানের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০’–এর অংশ হিসেবেই এই পথে হাঁটছে আরামকো। তেলের ওপর অতিনির্ভরতা কমাতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। বিশাল মরুভূমিকে কাজে লাগিয়ে আরও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে দেশটি। এর আগে সংস্কারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বের ৪৯টি দেশের পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

সৌদি আরবের বিপুল তেলসম্পদ উত্তোলনের জন্য ১৯৩৩ সালে সৌদি আরব ও ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির (পরবর্তী সময়ে শেভরন নামে পরিচিতি পায়) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির পর প্রতিষ্ঠিত হয় আরামকো। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে পুরো কোম্পানিটিই কিনে নেয় সৌদি সরকার। কোম্পানিটির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।