Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকার গঠনে জোট বেঁধেছে থাইল্যান্ডের বিরোধী দলগুলো

থাইল্যান্ডের সামরিক সরকারবিরোধী সাত বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা নতুন জোটের ঘোষণা দেয়। ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডের সামরিক সরকারবিরোধী সাত দল সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধেছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি করেছে দলগুলো। সেই সঙ্গে তারা সামরিক সরকারের পদত্যাগও চেয়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষে পুয়ে থাই পার্টি আজ বুধবার সাত দলের জোট ‘ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ গঠনের দাবি করে।

জোট বাঁধার ঘোষণা দিলেও বিরোধী দলগুলো এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাদের প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি।

থাইল্যান্ডের সামরিক সরকাররে তৈরি করা আইনে, পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোটকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী ঠিক করতে হবে।

ফিউ থাই পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার সুদারাত কিউরাফান দাবি করেছেন, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের ৫০০ আসনের মধ্যে বিরোধী সাত দলের জোট ২৫৫টি আসন পাবে। সুদারাত বলেন, ‘সামরিক শাসনবিরোধী সাত দল হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছে।’
২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ফিউ থাই পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়।

থাইল্যান্ডের সামরিক সরকারের সমর্থক পালাং প্রাচারত পার্টিও সরকার গঠনের দাবি করেছে। তাদের দাবি, পপুলার ভোটে তারাই এগিয়ে ছিল। পালাং প্রাচারাত পার্টির মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকংচানা বলেন, ‘আমরা বেশির ভাগ পপুলার ভোট পেয়েছি। অন্তত ৮০ লাখ মানুষ প্রাউতকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।’

ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সামরিক বাহিনীর উপপ্রধান প্রায়িত ওংসুয়ান বলেন, কারও অর্বাচীনের মতো আচরণ করা উচিত নয়। কারণ, ছয় সপ্তাহ পর নির্বাচন কমিশন সরকারি ফল ঘোষণা করবে।


প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে শুরুতেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে সম্মিলিত জোটে। কারণ, এ ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সিনেটের ভোটও প্রয়োজন হবে। সিনেটে আবার ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা। তাই নির্বাচনের ফল পুরো ঘোষণার পর এ নিয়ে এক অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।