Thank you for trying Sticky AMP!!

সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে গত বছরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার। ওই নির্বাচনে সুচির দল ভূমিধস বিজয় লাভ করে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশটির গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চির বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনে জালিয়াতি এবং আইনবহির্ভূত কাজে’ জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ আরও ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।

মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। তখন থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। এরপর আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় খুবই অল্প সময়ের জন্য প্রকাশ্যে দেখা গেছে তাঁকে।

ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের দায়ে সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নির্বাচনের আগে প্রচারণা চালানোর সময় করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার জন্য তাঁর বিচার শুরু হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে কয়েক দশকের জেলের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ এবং ভিন্নমতের বিরুদ্ধে মারাত্মক দমন-পীড়নের জন্য মিয়ানমারে অস্থিরতা চলছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ হাজারো মানুষকে আটক রাখা হয়েছে।

এদিকে দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সু চিকে আটক রাখা হলেও তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে না। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের সেনা মুখপাত্র জেনারেল জ মিন তুন বলেছেন, সু চি ভালো অবস্থায় আছেন।

মেজর জেনারেল জ মিন তুনের দাবি, সু চি ভালো আছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁকে (সু চিকে) বন্দী করলেও, বাড়িতে আপনজনদের মধ্যে থাকার সুযোগ দিয়েছি। তিনি তো গৃহবন্দী।’