Thank you for trying Sticky AMP!!

হংকংয়ে তরুণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি

হংকংয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি

হংকংয়ে এক তরুণ বিক্ষোভকারীর দিকে তাক করে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে বুকে গুলিবিদ্ধ হন ওই বিক্ষোভকারী। চীনে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তির দিন এই ঘটনা ঘটল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে পুলিশ রবার বুলেট ছুড়লেও গুলি করার ঘটনা ঘটল এই প্রথম। বিবিসির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, খুব কাছ থেকে একজন বিক্ষোভকারীর বুক বরাবর গুলি করছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

আহত ওই বিক্ষোভকারীর বয়স ১৮ বছর। ঘটনার পর তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তাঁর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা যায়নি। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁ কাঁধের একটু নিচে ওই তরুণের গুলি লেগেছে। তবে ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলি লাগার পর ওই তরুণ বলছেন, ‘আমার বুক জ্বলে যাচ্ছে। আমাকে এখনই হাসপাতালে নিয়ে চলো।’

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে জল কামান ছুড়ছে পুলিশ। ছবি: এএফপি

পুলিশ কর্তৃপক্ষের দাবি, আত্মরক্ষার্থেই ওই তরুণের ওপর গুলি চালিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা। নিজের ও সহকর্মীদের ‘প্রাণ সংশয়’ দেখা দিয়েছিল বলেই তিনি গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছেন, এমন কথাও জানিয়েছে পুলিশ। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ইয়োলান্দা ইউ হোই-কোয়ান সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকাকে বলেছেন, ‘নিজের এবং সহকর্মীদের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই ওই পুলিশ কর্মকর্তা আক্রমণকারীর দিকে গুলি চালিয়েছেন। পুলিশ চায়নি কোনো সাধারণ মানুষ আহত হোক। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’

পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষে অন্তত ৫১ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত চারজনের মধ্যে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের জবাব হিসেবে বিক্ষোভকারীরা পেট্রল বোমা ছুড়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ সময় অন্তত ৯৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হংকংয়ের শা তিনে এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। ছবি: এএফপি

দিনটিকে বিক্ষোভকারীরা ‘শোক দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদস্বরূপ অন্তত ছয়টি শহরে রাস্তা বন্ধ করে রাখে। শহরের অন্তত ১৫টি মেট্রো স্টেশন ও শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ নামানো হয়েছে হংকংয়ের রাস্তায়।

চীনের প্রস্তাবিত নতুন প্রত্যর্পণ আইন নিয়ে প্রায় চার মাস আগে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রস্তাবিত ওই প্রত্যর্পণ আইন পাস হলে চীন, তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ে কোনো মামলায় অভিযুক্ত কাউকে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানালে সেটা মানতে হবে হংকং কর্তৃপক্ষকে। হংকংয়ের জনগণের মতে, এ আইনের মাধ্যমে হংকংয়ের বিচারব্যবস্থাই হুমকির মুখে পড়বে ও তাঁদের ওপর চীনের প্রভাব বাড়বে।

আরও পড়ুন:
হংকংয়ে হচ্ছেটা কী