Thank you for trying Sticky AMP!!

১৪০ জন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। ছবি: রয়টার্স

খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় একের পর এক বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৪০ জন ব্যক্তির খোঁজ করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এ তথ্য জানিয়েছেন। সন্দেহভাজন এই ১৪০ ব্যক্তি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে জড়িত বলেও সন্দেহ করছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার আশঙ্কা, দেশটির বেশ কিছু তরুণ ২০১৩ সাল থেকেই আইএসের সঙ্গে জড়িত আছেন। পুলিশ তাঁদের আটক করার চেষ্টা করছে বলেও নিশ্চিত করেছেন সিরিসেনা। তাঁর দাবি, এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে আইএসকে ‘সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করার ক্ষমতা শ্রীলঙ্কার আছে।

এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য ও উপাসনালয়গুলোতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

হামলার আগে ভারত দুইবার শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করলেও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকেই দায়ী করেছেন সিরিসেনা। তাঁর দাবি, বিক্রমাসিংহের আমলেই শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থা দুর্বল হয়েছে। তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সময় অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারে সব মনোযোগ দেওয়ায় শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।

খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় একের পর এক বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৪০ জন ব্যক্তির খোঁজ করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: এএফপি

এদিকে আরও হামলার আশঙ্কা থাকায় আজ শুক্রবার মসজিদের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসাতেই জুমার নামাজ আদায় করার জন্য মুসলিমদের পরামর্শ দিয়েছিল দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। হামলার আশঙ্কা থাকায় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের এখনই গির্জায় না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, এমন সন্দেহে এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকসহ মোট ৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।