Thank you for trying Sticky AMP!!

১৭ বছর আগের সার্সের মহামারিকেও ছাড়িয়ে গেল করোনাভাইরাস

থাইল্যান্ডে এক ট্যাক্সিচালকের শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ কারণে উপাসনালয়ে মাস্ক পরে উপাসনা করছেন ভক্তরা। ছবি: এএফপি

প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই ভাইরাসের কারণে। ভাইরাসটির ব্যাপকতা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে ভয়াবহতার দিক থেকে এটি ছাড়িয়ে গেছে ১৭ বছর আগের সার্স ভাইরাসকেও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ২৬টি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স)। অন্তত ৮ হাজার ১০০ লোক আক্রান্ত হয়েছিল সার্সে। আর করোনাভাইরাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য এখনো সার্সের পেছনেই আছে করোনাভাইরাস। সার্সের কারণে মারা গিয়েছিল ৭৭৪ জন। করোনাভাইরাসে এখনো পর্যন্ত মারা গেছে ২১৫ জন এবং প্রত্যেকেই মারা গেছে চীনে। করোনাভাইরাসের মতো সার্সের প্রাদুর্ভাবও শুরু হয়েছিল চীনে।

সার্সের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সার্সের চেয়েও বড় প্রভাব রাখতে পারে করোনাভাইরাস।

চীন ছাড়া আরও ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ছবি: এএফপি

গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সানডিয়াগো ইনোভিয়োস ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। প্রতিষেধকটিকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে ‘আইএনও-৪৮০০’। সামনের গ্রীষ্মে এটি মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ সুদানের জুবা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: এএফপি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ বছরে পাঁচটি আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। ২০০৯ সালে এইচওয়ান সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের জন্য, ২০১৩ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব, ২০১৪ সালে পোলিও, ২০১৬ সালে জিকা ভাইরাস এবং ২০১৯ সালে আবার কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে ইবোলার প্রাদুর্ভাবের জন্য আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাস: বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত