Thank you for trying Sticky AMP!!

২৭ বছরের মধ্যে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন

ভবিষ্যতে চীনের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় ভাগে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশে, গত ২৭ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। ভবিষ্যতে চীনের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে পারে, এমন সতর্কবার্তাও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—এই তিন মাসে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। এর আগের তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.২ শতাংশ। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) এই তথ্য-উপাত্ত জানিয়েছে।

এদিকে ‘সুপারপাওয়ার’ চীনের অর্থনীতির এমন অবস্থায় পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিকে চাঙা করতে চীনের সরকার নতুন উদ্যোগ হাতে নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এএফপির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৯২ সালের পর চীনের প্রবৃদ্ধি কখনো এত নিচে নামেনি। তবে ২৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হলেও চীন সরকারের প্রত্যাশিত জিডিপির মধ্যেই আছে এই জিডিপি। ২০১৯ সালের জন্য চীন সরকারের প্রত্যাশিত জিডিপির মাত্রা ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর চীনের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রত্যাশিত মাত্রার মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন এনবিএসের মুখপাত্র মাও শেংইয়ং। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। স্থবির হতে থাকা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার এই সময়ে আমাদের অর্থনীতি ভবিষ্যতে চাপের মুখে পড়তে পারে।’

এর আগে গত বুধবার নগদ অর্থের সংকট মোকাবিলায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ২০০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ মুদ্রা সরবরাহের ঘোষণা দেয় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।