Thank you for trying Sticky AMP!!

হুমকির মুখে পিছপা হব না: তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই বলেছেন, তাঁর দেশ নিরাপদ থাকলে বিশ্ব নিরাপদ। কর্তৃত্ববাদী হুমকির মুখে তাইওয়ান পিছপা হবে না।

চীনের হুমকির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে উইলিয়াম লাই এসব কথা বলেছেন।

লাই মূলত প্যারাগুয়ে সফরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। তিনি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনার দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্যারাগুয়েতে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাত্রাবিরতি করছেন লাই। আবার প্যারাগুয়ে থেকে ফেরার পথেও তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে।

Also Read: তাইওয়ান ঘিরে আবারও উত্তেজনা

গত শনিবার তাইওয়ান থেকে রওনা দেন লাই। গতকাল রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছান। নিউইয়র্কে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে তাইওয়ানের পতাকা ওড়ান সমর্থকেরা।

নিউইয়র্কে সমর্থকদের একটি মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বক্তব্য দেন বলে জানায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

লাই তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, তাইওয়ান নিরাপদ থাকলে বিশ্ব নিরাপদ, তাইওয়ান প্রণালি শান্তিপূর্ণ থাকলে বিশ্ব শান্তিপূর্ণ থাকবে।

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা সঠিক পথেই আছি। কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে ভয় পাবেন না, পিছপা হবেন না। তাইওয়ানকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই সাহসী ও শক্তিশালী হতে হবে।’

লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের নিন্দা জানিয়েছে চীন। তারা লাইকে একজন ঝামেলা সৃষ্টিকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করেছে। গতকাল চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাইয়ের এই সফরের সমুচিত জবাব দেবে বেইজিং।

Also Read: চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট

তাইওয়ানে আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী লাই।

চীন বিশেষ করে লাইকে খুবই অপছন্দ করে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের চেয়ে লাই বেশি চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তিনি অতীতে নিজেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একজন বাস্তবসম্মত নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ হিসেবে দাবি করে। এই ভূখণ্ডের সবকিছু থাকার পরও জাতিসংঘের স্বীকৃতি নেই। তবে চীন এলাকাটিকে নিজেদের অংশ মনে করে। চীন সরকারের ভাষ্য, প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগ করে এই ভূখণ্ডকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হবে।