Thank you for trying Sticky AMP!!

ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ

নেপালে পাইলটের ভুলে ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল উড়োজাহাজ

নেপালে গত জানুয়ারিতে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে সম্ভাব্য কারণ ছিল পাইলটের ভুল। ওই দুর্ঘটনার তদন্তকারীরা গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই উড়োজাহাজের পাইলটরা খুব সম্ভবত ভুল ‘লিভারে’ চাপ দিয়েছিলেন। এতে উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং প্রপেলার ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়।

গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল বেসরকারি ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি। পথে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হন দুই শিশুসহ উড়োজাহাজটির ৭২ আরোহী। নেপালে গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা।

তদন্ত দলের সদস্য প্রকৌশলী দীপক প্রসাদ বাস্তোলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পাইলটরা ভুল করে উড়োজাহাজের ‘ফ্ল্যাপ লিভারের’ বদলে ‘কন্ডিশন লিভারে’ চাপ দেন। ফলে প্রপেলার ঘোরা বন্ধ হয়ে উড়োজাহাজটি গতি হারায়। কন্ডিশন লিভার ইঞ্জিনের শক্তি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। ওই সময় উড়োজাহাজটির যে গতি ছিল, তাতে সেটি আরও ৪৯ সেকেন্ড আকাশে ভেসে ছিল। এরপর সেটি বিধ্বস্ত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে কৌশলগত ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের অভাব, কাজের উচ্চচাপ, অবসাদ ও উড়োজাহাজ পরিচালনায় বেঁধে দেওয়া মান অনুসরণ না করাকেও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে উড়োজাহাজটি যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হতো বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নেপালে প্রায়ই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এর বড় দুটি কারণ হলো, দুর্গম জায়গায় রানওয়ে ও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন। গত মে মাসেই ইয়েতি এয়ারলাইনসের মালিকানাধীন আরেকটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে উড়োজাহাজের ২২ আরোহী নিহত হয়েছিলেন।