Thank you for trying Sticky AMP!!

বৃষ্টিমুখর সিঙ্গাপুর

বৃষ্টি হলে অর্থ ফেরত দেবে সিঙ্গাপুরের যে হোটেল

গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন হোটেল–রেস্তোরাঁ নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। একই সঙ্গে এসব উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্যদের থেকে আলাদা হিসেবেও গড়ে তোলে। তেমনই নতুন এক উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুরের একটি হোটেল। বৃষ্টির কারণে ঘোরাফেরা বিঘ্নিত হলে, এটি গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেবে। তবে শেষ কথা হলো, এর জন্য শর্ত প্রযোজ্য।

দ্য লায়ন সিটিখ্যাত সিঙ্গাপুর এমন একটি নগররাষ্ট্র, যেখানে বছরে গড়ে ১৭১ দিন বৃষ্টি হয়ে থাকে। এখানকারই একটি হোটেল ‘দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিঙ্গাপুর’ গ্রাহককে এ অর্থ ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা এই উদ্যোগের (প্যাকেজ) নাম দিয়েছে ‘বৃষ্টিবিলাস’ (রেইন রেসিস্ট বেলিস)।

কোথা থেকে এমন ‘বৃষ্টিবিমা’র ধারণা মাথায় এসেছে, জানতে চাইলে হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক আন্দ্রেয়াস ক্রেমার সিএনএনকে বলেন, একদিন তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বিলাসবহুল ভ্রমণসংক্রান্ত ব্যবসার নানাবিধ বিষয় নিয়ে অনলাইনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর এক বন্ধু মজা করে মন্তব্য করেন, বিলাসবহুল ভ্রমণে গ্রাহককে বেশি আকৃষ্ট করতে হলে ভালো আবহাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আন্দ্রেয়াস বলেন, বন্ধুর ওই মন্তব্য থেকে তাঁর মাথায় নতুন এই ধারণা আসে।

তবে বৃষ্টি হলেই যে সব গ্রাহক এ অর্থ ফেরত পাবেন, তা কিন্তু নয়। এ জন্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল কর্তৃপক্ষ। শুধু স্যুটস ক্যাটাগরির কক্ষের গ্রাহকেরা এ সুবিধা পাবেন। আর এখানেও রয়েছে শর্ত, বৃষ্টি হতে হবে দিনের বেলায় কোনো চার ঘণ্টা সময়ের (ব্লক টাইম) মধ্যে টানা দুই ঘণ্টার বেশি।

দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিঙ্গাপুরে দুই ধরনের স্যুটস ক্যাটাগরির কক্ষ রয়েছে। এর জুনিয়র স্যুটসগুলোর জন্য রাতপ্রতি ভাড়া শুরু হয় ৬৩৩ মার্কিন ডলার তথা প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে। আর এটির প্রেসিডেনশিয়াল স্যুটের ভাড়া শুরু ৩ হাজার ৩৪৯ মার্কিন ডলার থেকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মতো।

আবার অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু শর্ত। গ্রাহকদের নগদ অর্থের বদলে একটি রসিদ দেওয়া হবে, যা তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে ওই হোটেলেই ‘খেয়েদেয়ে’ বা অন্য কোনো সেবা নিয়ে শেষ করতে হবে। বৃষ্টিবিমার আওতায় গ্রাহককে যে পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে, তা হোটেলটির একটি কক্ষের (রুম ক্যাটাগরি) এক রাতের ভাড়ার সমান।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হোটেলের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কথা জানা যায়। যেমন ইন্দোনেশিয়ার বালির একটি হোটেলের গ্রাহকেরা সুইমিংপুলে স্মার্টফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রোনিকস যন্ত্র নিয়ে যেতে পারেন না। গ্রাহকদের যন্ত্রমুক্ত নিবিড় প্রশান্তির অনুভূতি দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য পার্ক হায়াট নিউইয়র্ক’ হোটেলে রাতের প্রশান্তিমূলক ঘুমের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের কক্ষ। আনন্দদায়ক ঘুম আনার জন্য এসব কক্ষে রয়েছে বিশেষ ধরনের শব্দযন্ত্র (হোয়াইট মেশিন), বিশেষ ধরনের ভারী কম্বল ও বিশেষ ধরনের চায়ের ব্যবস্থা।