Thank you for trying Sticky AMP!!

জাওয়াহিরিকে হত্যায় কি ‘নিনজা বোমা’ ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আয়মান আল জাওয়াহিরি

আফগানিস্তানের কাবুলের একটি বাড়িতে ড্রোন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আল–কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হন। তবে হামলাপরবর্তী সময়ে তোলা ওই বাড়ির ছবিতে বিস্ফোরণের কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন কর্মকর্তারাও বলছেন, এ হামলায় অন্য কেউ আহত হননি। এ ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে হেলফায়ার আর নাইন এক্স ক্ষেপণাস্ত্র। জাওয়াহিরিকে হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওয়ারহেড না থাকা এ হেলফায়ার আর নাইন এক্স ক্ষেপণাস্ত্র রেজারের মতো ছয়টি ব্লেড থাকে। এটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে বিস্ফোরণ হয় না। জাওয়াহিরিকে হত্যার ঘটনায়ও একই চিত্র দেখা গেছে।

৩১ জুলাই সকালে এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কাবুলের বাড়ির ব্যালকনিতে জাওয়াহিরি একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। মার্কিন ড্রোন থেকে দুটি হেলফায়ার ছোড়া হয়। হামলাপরবর্তী সময়ে তোলা ভবনটির ছবিতে দেখা গেছে, একটি তলায় জানালা উড়ে গেছে। তবে ভবনের অন্য তলার জানালাসহ বাকি অংশ অক্ষত আছে।
জাওয়াহিরির পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁদের লক্ষ্য করে আক্রমণ কিংবা ক্ষতি করা হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘বেসামরিক নাগরিকেরা এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’

আর নাইন এক্স ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চে। তখন সিরিয়ায় আল–কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবু আল খায়ের আল মাসরিকে হত্যার ঘটনায় এর ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। আল মাসরিকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। ওই গাড়ির ছবি প্রকাশ হওয়ার পর গাড়ির ছাদে একটি বড় ছিদ্র দেখা গেছে। গাড়ির ভেতরের সবকিছু তছনছ হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, তবে গাড়ির সামনের ও পেছনের অংশ একেবারেই অক্ষত ছিল।

অথচ এ ঘটনার আগে পর্যন্ত ড্রোন থেকে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যেসব হামলা হয়েছিল, সেগুলোয় শক্তিশালী বিস্ফোরণ হতে দেখা গেছে। প্রায়ই এসব হামলার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হতে দেখা যেত।

তবে ২০১৭ সালের পর মাসরির ঘটনাসহ হাতে গোনা যে কয়টি ঘটনায় হেলফায়ার ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে, সব কটির ফলাফল একই। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা ছাড়া আশপাশে বিস্ফোরণের আলামত থাকে না।

আর নাইন এক্স ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘নিনজা বোমা’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতাদের হত্যায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এ ক্ষেপণাস্ত্রকে বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আপাতদৃষ্টিতে জাওয়াহিরিকে হত্যার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।