Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিক্ষোভকারীদের দখলে

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাঙ্গণ এখন বিক্ষোভকারীতে পরিপূর্ণ

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বর্তমানে তাঁর কার্যালয়ে নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি। তবে তিনি এখন ঠিক কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসির সাংবাদিক টেসা ওং জানান, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যান। তাঁরা কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ফেলেন। পরে তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাঙ্গণ এখন বিক্ষোভকারীতে পরিপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে।

Also Read: সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নেওয়া বিক্ষোভকারীরা আনন্দ–উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। চিৎকার–চেঁচামেচি করছেন। তাঁরা সেখানে সেলফি তুলছেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভেতরে ঢোল বাজিয়ে, চিৎকার করে নানান স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে বলছেন, ‘রনিল পাগল’, ‘গোতাবায়া পাগল।’

বিক্ষোভকারীদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ভবনের বারান্দায় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সেখানে দাঁড়িয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বারান্দায় শিখা জ্বালিয়েছেন।

Also Read: গোতাবায়া কখন পদত্যাগ করবেন, জানালেন স্পিকার মাহিন্দা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ার আগে ফটকের বাইরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়া ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তারা জলকামান ব্যবহার করে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার আগে শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকটের মুখে গণ–আন্দোলনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশ ছেড়ে পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি একটি সামরিক উড়োজাহাজে করে মালদ্বীপে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা।

গোতাবায়ার দেশ ছেড়ে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এ ছাড়া দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোতেও কারফিউ বলবৎ থাকবে। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ থামাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উচ্ছৃঙ্খল আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল।

প্রধানমন্ত্রী রনিলকে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার। আর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া আজ পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্পিকার বলেছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আজই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন।

রনিল আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, একটি সর্বদলীয় সরকার গঠিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। একটি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো।

বিক্ষোভকারীরা রনিলেরও পদত্যাগ দাবি করছেন।

শ্রীলঙ্কা অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের প্রেক্ষাপটে গত মার্চ মাসে দেশটির হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন।

গত শনিবার শত শত বিক্ষোভকারী গোতাবায়ার বাসভবনে ঢুকে পড়েন। এদিন রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন গোতাবায়া।