Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনের নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কেন্দ্রে থাকবে জলবায়ু পরিবর্তন

হ্যারিকেনে সৃষ্ট বন্যায় জলমগ্ন শহরাঞ্চলের বাড়িঘর

চীনের নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সবুজ পরিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশটির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্সের খবর।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির ওপর মনোযোগ দিতে ও জ্বালানি ঘাটতি পুষিয়ে নিতে নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের খাতিরে চীন এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্ভবত কোনো ছাড় দেবে না।

চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হ্যান ঝেং গত অক্টোবরে বলেন, তাঁর দেশের ২০২১-২০২৫ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আগামী মার্চে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হবে। এ পরিকল্পনাকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে উৎসর্গ করা হবে। এ ছাড়া ২০৩০ সালের আগে কার্বন নিঃসরণ চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়া ও ২০৬০ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’ অর্জনে বেইজিংয়ের যে নতুন লক্ষ্য রয়েছে, তার ওপর নজর দেওয়া হবে এই পরিকল্পনায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির ওপর মনোযোগ দিতে ও জ্বালানি ঘাটতি পুষিয়ে নিতে নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের খাতিরে চীন এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্ভবত কোনো ছাড় দেবে না। এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ড্রওয়ার্ল্ড এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের ঝ্যাং সুয়েই বলেন, ‘আমার মনে হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় চীনের আইনপ্রণেতারা জ্বালানি ও কয়লা ব্যবহার বিষয়ে তাঁদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কম উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন।’

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো গত নভেম্বরে বলেছে, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কম কার্বন নিঃসরণ করে এমন জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত।