Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ৪ শহর লকডাউনে

বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হেবেই প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় একটি গ্রামের দিকে যাওয়া সড়কে বসেছে তল্লাশি চৌকি

চীনে গত পাঁচ মাসের মধ্যে আজ বুধবার সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপরই দুটি প্রদেশের চারটি শহর লকডাউন করা হয়েছে। দেশটিতে করোনার সংক্রমণের নতুন তরঙ্গ ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লকডাউন হওয়া শহরগুলো হলো হেবেই প্রদেশের শিজিয়াজহং, শিংতাই ও ল্যাংফাং এবং হেলিওংজিয়াং প্রদেশের সুইহা।

চীনে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই রাজধানী বেইজিংয়ের কাছাকাছি থাকেন। তবে দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের একটি প্রদেশেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই ওই প্রদেশের ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সফলতা দেখিয়েছে।

আজ বুধবার ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (এনএইচসি) প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১১৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার তা ছিল ৫৫ জন। ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে আজ এক দিনে করোনা শনাক্তের হার দেশটিতে সর্বোচ্চ। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হেবেই প্রদেশে ৯০ জন এবং হেলিওংজিয়াং প্রদেশে ১৫ জন। হেলিওংজিয়াং প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল করোনার উৎস তদন্তে আগামীকাল বৃহস্পতিবার উহানে আসার আগেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেল। এনএইচসি মুখপাত্র ফেং বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলটিকে চীনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

করোনার উৎস নিয়ে এখনো অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি স্পর্শকাতর হিসেবে দেখা হয়। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একজন বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞদের চীন সফরের পর করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার প্রত্যাশা খুবই কম।

এনএইচসির কর্মকর্তা ওয়াং বিন বলেছেন, চীন ইতিমধ্যে এক কোটি টিকা দিয়েছে। এ ছাড়া দৈনিক ১ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষা সুবিধা চালু করেছে, যা গত মার্চের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

এখন পর্যন্ত চীনে মোট ৮৭ হাজার ৭০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সেখানে করোনায় মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।