Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়েছে

করোনার দৈনিক সংক্রমণের তথ্য দেবে না চীন

চীন তিন বছর ধরে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) দৈনিক করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করছে। তবে কমিশন বলেছে, স্থানীয় সময় রোববার থেকে তারা আর এই তথ্য প্রকাশ করবে না।

এনএইচসি এক বিবৃতিতে বলেছে, গবেষণার জন্য করোনা–সংক্রান্ত তথ্য চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সরবরাহ করবে। তবে সিডিসি কতদিন পরপর কোভিড–সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ করবে, তা জানানো হয়নি।

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়েছে। দেশটিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরও এনএইচসি করোনায়  মৃত্যুর কোনো খবর দেয়নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া অথবা ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু না হলে চীনে সেটিকে করোনায় মৃত্যু বলে ধরা হয় না। যদিও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।

ব্রিটিশভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, চীনে গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার মৃত্যু হচ্ছে। করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।

নভেম্বরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হতে থাকে। এনএইচি এ মাসে উপসর্গবিহীন রোগীদের করোনা রোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে করোনায় প্রকৃত রোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

Also Read: চীনের এক শহরেই দিনে ৫ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

চীনে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা তুলনামূলক কম হয়। চীনের বিরুদ্ধে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।

চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রও করোনায় সংক্রমিতের দৈনিক তথ্য দেয় না। দৈনিক হিসাবের বদলে যুক্তরাষ্ট্র করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সাপ্তাহিক হিসাব দিয়ে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে করোনায় আক্রান্ত কতজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, সে তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন মডেল ও প্রতিবেদন বলছে, চীনের গ্রামাঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ লাখ মানুষ মারা গেছে।

Also Read: চেনা-পরিচিত সবার জ্বর: চীনে করোনা এখন এমনই