Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে শক্ত হচ্ছে দক্ষিণপন্থীদের ভিত

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে নির্বাচনী প্রচার: ছবি সংগৃহীত

রোববার অস্ট্রিয়ার সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টি এফপিও দলের দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গত মাসে অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিও এবং মধ্য রক্ষণশীল অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি ওভিপি দল দুটির জোট সরকার ভেঙে যায়। আর এই কারণেই এক বছর মেয়াদ থাকতেই নতুন করে অস্ট্রিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

তিন সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত জার্মানির সংসদ নির্বাচনের মতো জার্মানির দক্ষিণ সীমান্তের দেশ অস্ট্রিয়াতেও ইসলাম, শরণার্থী, অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলি ফ্রিডম পার্টির কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর এই স্লোগানগুলোকে সামনে এনে জার্মান কট্টর রক্ষণশীল দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির মতোই ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রিয়ার সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে।
নির্বাচনের চার দিন আগে নির্বাচন নিয়ে টেলিভিশন বিতর্কে অস্ট্রিয়ার পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী দুই দল সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিও এবং মধ্য রক্ষণশীল অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির নেতাদের কট্টরবাদী দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টির সমর্থকদের ভোট পাওয়ার জন্য আগ্রহ ও নমনীয়তা প্রকাশ পায়। প্রয়োজনে কট্টরবাদীদের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের কথাও বলেছেন অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির তরুণ নেতা সিবাস্হিয়ান কূর্জ।
নির্বাচনে অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি ওভিপি দলের তরুণ নেতা ৩১ বছর বয়স্ক সিবাস্হিয়ান কূর্জকে সম্ভাব্য বিজয়ী বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কট্টরপন্থী ফ্রিডম পার্টি এফপিও দলের নেতা হাইঞ্ছ ক্রিষ্টিয়ান স্টার্খে ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এমপিও দলের নেতা ক্রিশ্চিয়ান ক্রেন। এই তিন দলের বাইরে অস্ট্রিয়ার পরিবেশবাদী সবুজ দল ও ফ্রি লিবারেল দলও নির্বাচনে কিছু আসন পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে তৎকালীন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর গ্রেপ্তার ফেরান ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেলের প্রচেষ্টায় অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্ত খুলে দেওয়ায় হাজার হাজার শরণার্থী জার্মানি সহ মধ্য ইউরোপের দেশগুলিতে প্রবেশ করেছিলেন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টি বেশ জনপ্রিয়বাদী রাজনীতি করছেন।
সর্বশেষ নির্বাচন জরিপে দেখা যাচ্ছে মধ্য রক্ষণশীল অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি ওভিপি দল ৩৩ শতাংশ, দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টি এফপিও দল ২৭ শতাংশ এবং সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিও দল ২৩ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুই দফা নির্বাচনে মূল ধারার দলগুলির সমর্থন পেয়ে ৫০ শতাংশ ভোটে পরিবশবাদী সবুজ দলের ভন ড্যার বেলিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ৪৯ শতাংশ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টির নেতা নর্বার্ট হোফার।