Thank you for trying Sticky AMP!!

আনা ফ্রাঙ্কের চিঠি

আনা ফ্রাঙ্ক

আনা ফ্রাঙ্ক ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তাঁর ডায়েরির জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেখা তাঁর ডায়েরি সর্বাধিক বিক্রীত বই হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এবার প্রকাশিত হয়েছে এই জার্মান ইহুদি কিশোরীর অনেক অপ্রকাশিত চিঠি। চিঠিগুলো ইতিহাসখ্যাত ডায়েরিটি লেখারও আগে দাদি অ্যালিস ফ্রাঙ্ককে লিখেছিলেন তিনি।

এবারই প্রথম আনার অপ্রকাশিত চিঠি ও ডায়েরি সব একসঙ্গে ইংরেজিতে প্রকাশিত হলো। এর নাম রাখা হয়েছে আনা ফ্রাঙ্ক: দ্য কালেকটেড ওয়ার্কস। বইটি চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রকাশনী ব্লুমসবেরি। আনার অপ্রকাশিত চিঠিগুলো থেকে তাঁর জীবনের ভিন্ন আরেকটি অধ্যায় উঠে এসেছে। চিঠিগুলো আনা লেখেন ১৯৩৬ থেকে ১৯৪১ সময়কালের মধ্যে।

আনার স্বপ্ন ছিল লেখক হবেন। অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টি ১৯৩৩ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জার্মানির ক্ষমতায় এলে আর সব ইহুদির মতো আনার জগৎও বদলে যেতে থাকে। হিটলার প্রচার করেন, জার্মানির বেশির ভাগ সমস্যার জন্য দায়ী ইহুদিরা। তাই নির্বাচনে জিতে ইহুদিদের ওপর নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসে জার্মানিতে। আনার পরিবার নেদারল্যান্ডসে চলে যায়। সেখানে কিছুদিন ভালোই কাটায় তারা। এ সময়ই সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া আনা তাঁর কিশোরীসুলভ প্রগলভতায় দাদিকে নিয়মিত চিঠি লিখতে শুরু করেন।

আনা তাঁর চুল বড় হওয়ার কাহিনি, জন্মদিনে কী কী উপহার পেলেন, নতুন পোশাক—এসব দাদিকে চিঠিতে লেখেন। একটি চিঠিতে তিনি দাঁতের ডাক্তার দেখানোর বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন দাদিকে। আরেকটি চিঠিতে এক ছেলেবন্ধুর সঙ্গে ঘোরার কথা লিখেছেন তিনি। আনা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন—যুদ্ধ শেষ হলেই তিনি আইস স্কেটিং (বরফের খেলা) শুরু করবেন।

ডায়েরি লেখা শুরু করেন এর পরের বছর ১৯৪২ সালে। সেবার ১২ জুন ১৩তম জন্মদিনে উপহার পাওয়া লাল-সাদা চেকের একটি ডায়েরি তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে ওঠে। আদর করে আনা যার নাম দিয়েছিলেন ‘কিটি’।

জার্মানির বার্গেন-বেলসেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আনা যখন টাইফাস জ্বরে মারা যান, তখন মাত্র ১৫ বছর বয়স ছিল তাঁর। অথচ ওই বয়সেই তিনি যা লিখে গিয়েছেন, তার কারণে আনাকে ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।