Thank you for trying Sticky AMP!!

‘আস্থার’ জন্য রুশ জনগণকে ধন্যবাদ দিলেন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়ার ওপর আস্থা রাখার জন্য রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল সোমবার পুতিন রুশ জনগণকে এই ধন্যবাদ জানান। গত রোববার সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে টেলিভাইজড বৈঠক করেন পুতিন।

নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতার কথা বলতে চাই। প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের আস্থার জন্য ধন্যবাদ।’

রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া জয় পেয়েছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, গণনা হওয়া ভোটের মধ্যে পুতিনের দল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। ইউনাইটেড রাশিয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টি ভোট পেয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ।

ইউনাইটেড রাশিয়া ২০১৬ সালের সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে খারাপ করেছে। কারণ, গত নির্বাচনে দলটি ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।

এবারের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোরও অভিযোগ আছে।

এই নির্বাচনে ক্রেমলিনের বেশির ভাগ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। বিরোধী ও সমালোচকদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়।

নির্বাচনে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া ছাড়াও প্রায় এক ডজন দল অংশ নেয়। তবে এগুলো নামমাত্র বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত।

পুতিনের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি বা তাঁর কোনো সমর্থককে এই নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। নাভালনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। নির্বাচনে ইউনাইটেড রাশিয়ার জয়ের পথ সুগম করতে নাভালনির ‘স্মার্ট ভোটিং’ অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়।

গত শুক্রবার রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে টানা তিন দিনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। স্থানীয় সময় রোববার ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পুতিনের সমালোচকেরা বলছেন, সবদিক থেকেই এই নির্বাচন লজ্জাজনক।