Thank you for trying Sticky AMP!!

ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের সমালোচনা

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতারা। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সাম্প্রতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত ইইউর শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো এ বিষয়ে এককাট্টা হয়েছে।

এই সম্মেলনে ইউরোপ ও চীন থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক চাপানো, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর এবং জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে বের হওয়া যাওয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোফিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এ ধরনের বন্ধু থাকলে, আর কোনো শত্রুর প্রয়োজন হবে না।’

শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠক শেষে বলা হয়েছে, ইউরোপের ২৮টি দেশের নেতারা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজেদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্তর্জাতিক নীতিগুলোর জন্য কাজ করে যাবে। ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিটি বহাল থাকবে। ইউরোপীয় বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য করছে, তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে রক্ষাকবচ গঠন করা হবে।

বৈঠকে ইউরোপ থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, কোনো যৌক্তিক স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দাবি আদায়ের শামিল। কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির বিষয়ে ২৮টি দেশ ঐকমত্য প্রকাশ করে। দেশগুলো মনে করে, ট্রাম্প চাইলে জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

উল্লেখ্য ইউরোপে তরল গ্যাস রপ্তানির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ আগ্রহ রয়েছে। এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার তরল গ্যাস বাল্টিক সাগর দিয়ে পাইপলাইনে করে জার্মানিতে রপ্তানি হচ্ছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কিছু নিয়ম সংস্কারের মাধ্যমে ইউরোপীয় বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সোফিয়ার সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো।

এই শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিম বলকান অঞ্চলের ছয়টি দেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও, তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।