Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ পুতিনের

ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেন সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে নাজুক অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়া এ পদক্ষেপ নিল। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ সেদিন সন্ধ্যায় বলেন, সেনাসদস্যদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
এর কিছু সময় পরে রাশিয়ার রিয়া নভোস্তি বার্তা সংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে জানায়, রুশ সেনারা ইতিমধ্যে প্রত্যাহার শুরু করেছে।
ইতালির মিলান শহরে আগামী শুক্রবার এশিয়া-ইউরোপ ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সেনা প্রত্যাহারের এ ঘোষণাকে ইঙ্গিতপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রস্তভ এলাকায় ‘গ্রীষ্মকালীন সামরিক মহড়ায়’ অংশ নিতে ১৭ হাজার ৬০০ সেনা পাঠিয়েছিল।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো অভিযোগ করে, মূলত ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সাহায্য করার জন্যই এত বেশি রুশ সেনা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা ইউক্রেনের রুশভাষী জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় মাত্র।
গত মাসের শেষ দিকে ন্যাটো বলেছিল, ইউক্রেনে গত ৫ সেপ্টেম্বর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া ওই দেশের ভেতর থেকে তার প্রচলিত বাহিনীর বেশির ভাগ সরিয়ে নিয়েছে। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সেনা পাঠানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
চীনা প্রধানমন্ত্রী মস্কোতে: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য গতকাল রোববার মস্কোতে পৌঁছেছেন। লির সফরে রওনা হওয়ার আগে চীনের একজন মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ঘটনা।