Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার কারণে হোটেলবন্দী কয়েক শ অতিথি

করোনাভাইরাসের কারণে স্পেনের ক্যানারি আইল্যান্ডের তেনেরিফের ‘এইচ১০ কোস্টা আদেজে প্যালেস’ নামের এই হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই হোটেলে প্রায় কয়েক শ অতিথি রয়েছে। ছবি: এএফপি

স্পেনের ক্যানারি আইল্যান্ডের তেনেরিফে আসা এক ইতালীয় চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর পুরো হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘এইচ১০ কোস্টা আদেজে প্যালেস’ নামের ওই হোটেলে কয়েক শ অতিথি রয়েছে। স্পেনের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা পর্যন্ত হোটেলে নিজ নিজ কক্ষে থাকতে বলা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইতালির ওই চিকিৎসক লোম্বারডি অঞ্চল থেকে এসেছেন। সেখানে এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই চিকিৎসক বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। গতকাল জানা যায় যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে তাঁকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। দ্বিতীয়বার তাঁর পরীক্ষা করা হবে।

এর আগেও স্পেনে করোনায় আক্রান্ত দুজন শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জার্মান ও একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক।

কোভিড-১৯-এ এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে এ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬০ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল সোমবার বলেছে, এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর সুযোগ এখনো রয়েছে। সম্ভাব্য মহামারি ঠেকাতে সব দেশকে আরও বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে।

স্পেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ভেরোনিকা মারটিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে ওই চার তারকা হোটেলের অতিথিদের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে আমরা এখনই পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইনের কথা ভাবছি না।’

এদিকে ওই হোটেলের একজন অতিথি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা গেছে, হোটেলের প্রত্যেক কক্ষে একটি করে কাগজ দিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার দরজার নিচ দিয়ে এটি দেওয়া হয়। তাতে হোটেল কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘স্বাস্থ্যগত কারণে আমরা হোটেলটি বন্ধ করছি। এ জন্য আমরা দুঃখিত। যতক্ষণ না স্যানিটারি কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশনা দিচ্ছে, ততক্ষণ আপনারা নিজেদের কক্ষে থাকবেন।’

হোটেলে থাকা আরেক ব্যক্তি জন টুরটন বিবিসিকে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেক্ষা করার বিকল্প নেই। লোকজন যাতে বাইরে যেতে না পারে, সে জন্য হোটেলের চারপাশে পুলিশ রাখা হয়েছে।