Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যে কড়াকড়ি

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে শঙ্কার মুখে নানা কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে শঙ্কার মুখে নানা কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে গণপরিবহন ও দোকানগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলেও যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সময় করোনা শনাক্তে করা হবে পিসিআর টেস্ট। পাশাপাশি কারও শরীরে নতুন ধরন মিললে তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটিতে দুজনের শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ধরনটি যুক্তরাজ্যে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যে করোনা নতুন ধরনটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে হবে। কারণ, সীমান্তে জারি করা বিধিনিষেধের ফলে করোনার নতুন ধরনের আঘাত কিছুটা বিলম্বে আসতে পারে, তবে তা একেবারে থামিয়ে দেবে না।

তবে নতুন করে জারি করতে যাওয়া বিধিনিষেধগুলো ‘সাময়িক এবং সতর্কতামূলক’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিধিনিষেধগুলো তিন সপ্তাহের মধ্যে আবার পর্যালোচনা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে টিকার ‘কার্যকারিতা’ নিয়ে আরও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। ডব্লিউএইচও বলছে, করোনার এ ধরনের অনেক বেশি মিউটেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু উদ্বেগজনক। করোনার নতুন ধরনের খবর মেলার পর আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও নানা বিধিনিষেধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো।