Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার সুনামির মুখে বেলজিয়াম

বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক ভ্যানডেনব্রুকে

বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক ভ্যানডেনব্রুকে বলছেন, যেভাবে পুরো দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই করোনার সুনামির মুখোমুখি হতে পারে বেলজিয়াম।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুরো ইউরোপেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। একই অবস্থা দেখা দিচ্ছে বেলজিয়ামে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ফ্র্যাঙ্ক ভ্যানডেনব্রুকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন সংক্রমণের সংখ্যা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কিছুদিনের মধ্যেই এটি সুনামির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। এবং সে ক্ষেত্রে দেশটির কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণই থাকবে না।

বেলজিয়ামে গতকাল সোমবার থেকে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সব ধরনের পানশালা ও রেস্তোরাঁ চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৭ দিনে দেশটিতে ৭ হাজার ৮৭৬ জনের দেহে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এটি ৭৯ শতাংশ বেশি

এদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে নিত্যনতুন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতালি গত রোববার এমন কিছু ঘোষণা দিয়েছে।

সেদিনই দেশটিতে দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ওদিকে নয়টি ফরাসি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইউরোপে করোনা সংক্রমণের হারের দিক থেকে শীর্ষে আছে চেক রিপাবলিক। সেখানে জাতীয়ভাবে পরিপূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউরোপে প্রথম যখন নতুন করোনাভাইরাস হানা দিয়েছিল, তখনো বেলজিয়াম ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়। বিশ্বব্যাপী প্রতি লাখ মানুষে মৃত্যুর সর্বোচ্চ হারের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই তালিকায় ১ নম্বরে আছে পেরু। এর পরেই আছে সান ম্যারিনো।

সোমবার থেকে বেলজিয়ামে নতুন বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। মূলত রোগের সংক্রমণ ঠেকাতেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে এবং একে-অন্যের বাড়িতে নাগরিকদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।

পরিস্থিতি মারাত্মক। গত ১৮ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার সময়ের তুলনায়ও এটি খারাপ
আলেক্সান্ডার ডি ক্রু , প্রধানমন্ত্রী, বেলজিয়াম

স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আগামী মাস পর্যন্ত এই কারফিউ চলবে। দিনের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছে মদ বিক্রিও।

বেলজিয়ান স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ দিনে দেশটিতে ৭ হাজার ৮৭৬ জনের দেহে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এটি ৭৯ শতাংশ বেশি। গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছিল। একই সঙ্গে বাড়ছে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হারও।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, ‘পরিস্থিতি মারাত্মক। গত ১৮ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার সময়ের তুলনায়ও এটি খারাপ।’