Thank you for trying Sticky AMP!!

গয়নার মাধ্যমে জন্মনিরোধ

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

মানবসভ্যতায় নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ছিল জন্মনিরোধক। এর ফলে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়। জন্মনিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। এবার নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতিতে কানের দুল, হাতঘড়ি, আংটি অথবা গলার হারের মতো গয়না বা পরিধেয় অন্য অলংকারের মাধ্যমে জন্ম নিরোধ করা হবে।

চিকিৎসাশাস্ত্র–বিষয়ক নেদারল্যান্ডসের খ্যাতনামা গবেষণা সাময়িকী জার্নাল অব কন্ট্রোলড রিলিজ–এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে এমনটি বলা হয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির রাসায়নিক ও জৈব-আণবিক প্রকৌশল বিভাগের একদল গবেষক।

গবেষণাটিতে এমন এক ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যাতে গয়না বা হাতঘড়ির মাধ্যমে শরীরে জন্মনিরোধক হরমোন প্রবেশ করানো যায়। ওই গয়নায় ছোট্ট একটি জায়গায় হরমোন রাখা হয়। সেটি ত্বকে আপনা-আপনিই শোষিত হয়। এরপর রক্তের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবাহিত হয়।

বিজ্ঞানীরা এখনো মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা করেননি। তবে শূকর ও লোমহীন ইঁদুরের শরীরে ইতিমধ্যে এর সফল পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। এতে দেখা গেছে, গয়নার ত্বকসংলগ্ন ছোট্ট একটি অংশ দিয়েই শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জন্মনিরোধক হরমোন ঢুকেছে। এমনকি বিজ্ঞানীরা মানুষের ঘুমের কথা চিন্তা করে গয়নাটি রাতে আট ঘণ্টার জন্য খুলে রেখে দেখেছেন, জন্মনিরোধ বাধাগ্রস্ত হয়নি।

শূকর ও ইঁদুরের কানে জন্মনিরোধ লিভোনোজেস্ট্রিল হরমোনসমৃদ্ধ দুল পরানো হয়েছিল। ত্বকের মাধ্যমে শোষণযোগ্য ওষুধ প্রযুক্তি ১৯৭৯ সালেই আবিষ্কৃত হয়েছিল। তবে গয়নার মাধ্যমে শরীরে এর প্রয়োগ এই প্রথম।