Thank you for trying Sticky AMP!!

ডেনমার্কের স্কুলে সহমর্মিতা শিখছে শিশুরা

সহমর্মিতা শেখানো জরুরি শিশুদের। ছবি: রয়টার্স

এখনকার যুগে শিশুদের মধ্যেও সহমর্মিতাবোধের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তবে ডেনমার্কের চিত্র আলাদা। ড্যানিশ শিশুদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সহমর্মিতাবোধের যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা অন্য দেশেও অনুসরণ করা উচিত।

জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ অনুসারে বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ ডেনমার্ক। সুখী হওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ১৯৯৩ সাল থেকে দেশটির শিশুদের স্কুল পর্যায়ে সহমর্মিতাবোধের শিক্ষা দেওয়ার নিয়ম চালু আছে। একে অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারা ও অন্যের অনুভূতি ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিলে তার ফল পাওয়া যায়।

প্রতি সপ্তাহে ডেনমার্কের স্কুলগুলোতে ‘সোশ্যাল লার্নিং’ বলে একটি বিষয় শেখানো হয়। প্রতি সপ্তাহে এক ঘণ্টার ক্লাস টাইম সহমর্মিতা বিষয়ে পাঠদান করা হয়। ৬ থেকে ১৬ বছরের শিশু–কিশোরকে এ ক্লাস করতে হয়।

দ্য ড্যানিশ ওয়ে ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ড্যানিশ কারিকুলামের বা শিক্ষা কার্যক্রমের একটি মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এক ঘন্টার ক্লাসে শিশুদের নিজের সমস্যা সম্পর্কে বলতে বলা হয়। শিক্ষক-সহপাঠীসহ এরপর সবাইকে নিয়ে সে সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। তারা অন্যের কথা শুনে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে একে অপরকে জানতে–বুঝতে পারে। প্রশিক্ষণের এ পদ্ধতিটি জেসিকা অ্যালেক্সান্ডারের বাই ‘দ্য ড্যানিশ ওয়ে প্যারেন্টিং: হোয়াট দ্য হ্যাপিয়েস্ট পিপল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড নো অ্যাবাউট রেইজিং কনফিডেন্ট, ক্যাপাবল কিডস’ বইতে উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি শিশুদের মধ্যে প্রতিহিংসা তৈরির বদলে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনকার দিনে শিশুদের মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতাবোধ বাড়ানোর বিষয়টি আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে গেছে। এতে পরস্পরকে নিপীড়ন করার বদলে বিশ্বকে জানার পদ্ধতিটাই বদলে যাবে। শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি পুরো জীবনে এ থেকে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।