Thank you for trying Sticky AMP!!

তালেবান এবার রাশিয়ার দ্বারস্থ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের শান্তিচুক্তি ভেস্তে যাওয়ার খবর এখন সদ্য পুরোনো। ৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গাড়িবোমা হামলায় এক মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় শান্তিচুক্তির আলোচনাকে ‘মৃত ইস্যু’ উল্লেখ করে তা বাতিল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন আলোচনা হচ্ছে, চুক্তি যে হলো না, তাতে কার লাভ, কার ক্ষতি। আর লাভের খাতায় যার নাম নিয়ে বেশি কানাঘুষা চলছে, সে হচ্ছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, হিসাব-নিকাশ কষে শত্রুর শত্রুকে শেষ পর্যন্ত বন্ধু বানানোর পথে এখন রাশিয়া। অঞ্চলটিতে এমন নতুন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে রাশিয়া আর ‘নিরপেক্ষ’ থাকার কথা ভাবছে না। আর আফগানিস্তান মানেই রাশিয়ার পুরোনো ঐতিহাসিক ক্ষতের স্মৃতি, তা কে না জানে!

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই যথার্থই বলেছিলেন যে, আফগানিস্তান সম্ভবত একমাত্র জায়গা, যেখানে মস্কো ও ওয়াশিংটনের স্বার্থের সংঘাত হয় না। প্রায় সবকিছুতে একে অপরের বিরোধিতা করা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অন্তত তালেবান ইস্যুতে কখনো দ্বিমত করেনি। এমনকি ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হস্তান্তর করতে আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার অস্বীকৃতি জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান হামলাকে সমর্থন করেছিল রাশিয়া। ওই হামলায় পতন হয় তালেবান সরকারের।

তবে দেরিতে হলেও রাশিয়া আফগানিস্তান বিষয়ে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে। রাশিয়ার এই সম্পৃক্ততায় অনেক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক বিস্মিত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে রাশিয়া কী পেতে চায়? সিরিয়ার পর কি ভিন্ন কোনো ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সংঘাত ঘটতে যাচ্ছে? বহু বছর আফগানিস্তানের সংঘাত থেকে দূরত্ব রক্ষা করে চলেছে রাশিয়া। আফগানিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত এলাকায় মধ্য এশিয়ার দেশগুলো দিয়ে মাদক পাচার ইস্যুতে ২০০৭ সালে প্রথমবার রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে এখনকার যোগাযোগ আর ওই এক ইস্যুতে আটকে নেই। অনেকের মতে, আফগানিস্তানে মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করে রাশিয়া, তাই সেখানে তাদের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছে।

রাশিয়া-আফগানিস্তানের এক টুকরা ইতিহাস
১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে আফগানিস্তানে হামলা করেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকারের সহযোগিতায় কমিউনিস্টবিরোধী মুসলিম গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ায় পরাক্রমশালী দেশটি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা আফগানিস্তানে ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল।

১৯৭৮ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ দাউদ খানের মধ্যপন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন বামপন্থী সামরিক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ তারাকির বাহিনী। এরপর ক্ষমতা ভাগাভাগি হয় মার্ক্স ও লেনিনপন্থী দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে। পিপলস পার্টি ও ব্যানার পার্টি একসঙ্গে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে আবির্ভূত হয়। ওই সরকারের সেই অর্থে কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে মাথার ওপর সোভিয়েত ইউনিয়নের আশীর্বাদ ছিল। বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি ও শহুরে গোষ্ঠীগুলো নতুন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে, যাদের সম্মিলিতভাবে বলা হয় মুজাহিদীন। এই লড়াই এবং সরকারের মধ্যের পিপলস ও ব্যানারের দুটি অংশের দ্বন্দ্বের মধ্যে ১৯৭৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে ৩০ হাজার সেনা নিয়ে প্রবেশ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় বসা পিপলস নেতা হাফিজুল্লাহ আমিন ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতায় বসেন ব্যানার নেতা বাবরাক কারমাল। কিন্তু তিনিও জনপ্রিয় হতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিদ্রোহী মুজাহিদীনরা। বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমনে এক লাখ সোভিয়েত সেনা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নামে। বড় ধরনের সেই লড়াইয়ে ২৮ লাখ আফগান পাকিস্তানে এবং ১৫ লাখ আফগান ইরানে পালিয়ে আশ্রয় নেয়।

সোভিয়েত বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ওই সময় ঘাড়ে বসিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সাফল্য পেতে শুরু করে মুজাহিদীনরা। তাদের শক্তি বাড়াতে এই অস্ত্রের জোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় মুজাহিদীনদের প্রতি পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও মুসলিম দেশগুলো সহানুভূতিশীল ছিল। নানা প্রান্ত থেকে মুসলিমরা মুজাহিদীনদের সঙ্গে যোগ দেয়। বলা হয়, আফগানিস্তানের সেই যুদ্ধই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার জন্য অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়। ১৯৮৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।

আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধারা। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তান ইস্যুতে রাশিয়া শক্তিশালী ‘খেলোয়াড়’

শান্তিচুক্তির উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার আগে এ বছরের জানুয়ারি মাসে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে আক্রমণ যথার্থ ছিল। কারণ, সন্ত্রাসবাদীরা রাশিয়ায় ঢুকে পড়ছিল। যদিও লড়াইটা কঠিন (রক্তক্ষয়ী) ছিল। এটাই ছিল সমস্যা। এর এক দিন পরই আফগান সরকার এর বিরোধিতা করে বিবৃতি প্রকাশ করে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ওই সময়ের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের সেই অনধিকার প্রবেশের পর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সব প্রেসিডেন্ট শুধু ওই আক্রমণের নিন্দাই করেননি, বরং আফগানদের পবিত্র জিহাদে সমর্থনও দিয়েছিলেন।’

তবে মার্কিন কূটনীতিক আর্চার কে ব্লাডের এক গোপন নথি থেকে বোঝা যায়, ইতিহাস সম্পর্কে জানা এখনো অনেক বাকি রয়েছে ট্রাম্পের। যেহেতু ট্রাম্প আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ বছর বয়সী যুদ্ধের ইতি টানার চেষ্টা করেছিলেন, তাই তাঁর জন্য শিক্ষামূলক হতে পারে ওই নথি।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভের পরিচালক থমাস এস ব্ল্যান্টন তথ্য অধিকার আইনে আর্চার কে ব্লাডের ওই নথি সংগ্রহ করেন এবং এ বছরের জানুয়ারি মাসে তা অনলাইনে পোস্ট করেন। ১৯৭৯ সালে মার্কিন সরকারকে আর্চারের পাঠানো ওই নথি থেকে বোঝা যায়, সন্ত্রাসবাদ দমনে আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করেনি সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র দুই মাস আগে ১৯৭৯ সালের অক্টোবরের একদিন আফগান প্রেসিডেন্ট হাফিজুল্লাহ আমিন কূটনীতিক আর্চারকে ডেকে পাঠান। ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় আর্চার লেখেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, তিনি (হাফিজুল্লাহ আমিন) মার্কিন-আফগান সম্পর্কের উন্নয়ন চাইছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর অতি নির্ভরতা কমাতে চাইছেন।’

এ বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মস্কো সফর শেষে আফগানিস্তানে ‘সহিংসতা হ্রাসে’ রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের একমত হওয়ার কথা বলেছিলেন। রাশিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের মধ্যে ভবিষ্যৎ যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য গ্যারান্টর হতে চাইছে। শান্তিচুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পরও আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ বলেছেন, তিনি মনে করেন, শান্তি আলোচনা ‘বাতিল’ হয়েছে, কিন্তু একেবারে ‘শেষ’ হয়ে যায়নি। ভবিষ্যৎ কোনো সমঝোতার প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মস্কোর আলোচনার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় আফগানিস্তানে আবারও ব্যাপকভাবে রাশিয়ার কূটনৈতিক উপস্থিতির সুযোগ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন মার্কিন নীতিনির্ধারকেরা। তাঁদের ভাষায়, আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে এই অঞ্চলটির জন্য রাশিয়া এখনো বিপজ্জনকই রয়ে গেছে।

এ ছাড়া আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বিভিন্ন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান এবং গত বছরের নভেম্বরে তালেবান প্রতিনিধিদের মস্কোতে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনায় আফগান সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবঘাত আহমাদি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, শান্তিচুক্তির জন্য মস্কোর ভূমিকা অসহযোগিতাপূর্ণ।

বলা হয়, রাশিয়ার আশঙ্কা, আফগান সরকারের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে সেখানে তাদের কূটনৈতিক অবস্থান ছিন্ন হতে পারে। আর এ কারণেই সরকার বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের দিকে ঝুঁকেছে রাশিয়া এবং তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করছে।

মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মতে, আফগানিস্তান পরিকল্পনায় মস্কোকে অংশীদারি ভাবার চেয়ে শান্তিচুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পেছনে মস্কোর ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা ভেবে দেখা দরকার ওয়াশিংটনের। আফগানিস্তান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রকৃত সমর্থন না ভেবে রাশিয়ার শক্তি আরও শাণিত করার উদ্দেশ্য হিসেবে দেখা দরকার।

২০১৮ সালের নভেম্বরে মস্কোতে আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধিদল। ছবি: রয়টার্স

তালেবান নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

মাসের পর মাস বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান পক্ষ শান্তিচুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছিল। শান্তিচুক্তির খসড়া তৈরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান কর্মকর্তাদের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় একের পর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খসড়া চুক্তি অনুসারে, আফগানিস্তানে তালেবানরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্র পাঁচ হাজার সেনা প্রত্যাহার করবে। ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার চলবে।

এই আলোচনার ধাপ হিসেবে জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের এবং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ নিবাস হিসেবে পরিচিত ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কূটনৈতিক এলাকা শাশ দারকে গাড়িবোমা হামলায় এক মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হয়। এতে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন মিশনের এক রোমানিয়ার সেনাও নিহত হয়। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে তালেবানরা। ওই ঘটনার পর বৈঠক বাতিল করে দেন ট্রাম্প। তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এখন একটা ‘মৃত ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবান নেতারা দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন। তালেবান নেতা শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে চান, তবে তার জন্য তালেবানের দরজা খোলা। ২৩ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্য আলোচনা শুরু হতো। এতে কোনো সমাধান বা কোনো চুক্তি হয়ে যেত পারত। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও ব্যাপক আলোচনা হতো। তিনি আরও বলেন, শান্তি আলোচনায় সহায়তার জন্য রাশিয়া ও চীনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তালেবান।

তালেবানের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ায় তালেবানদের প্রতিনিধিদল যাবে। তারা চীন, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতেও যাবে।

ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরুর চেষ্টা করা না, বরং মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে বাধ্য করতে আঞ্চলিক সমর্থন যাচাই করা।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, ফরেন পলিসি, এনসাইক্লোপিডিয়া, ডয়চে ভেলে