Thank you for trying Sticky AMP!!

ফুটবল মাঠে বল নেই, আছে ৩০০ গাছ

প্রায় পুরো মাঠেই লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০০ গাছ। ছবি: রয়টার্স

রেফারির বাঁশি আর গোলের পর ফুটবলারদের উল্লাস দেখেই অভ্যস্ত স্টেডিয়ামটির দর্শকেরা। কিন্তু মাস দেড়েকের জন্য চিরাচরিত এমন দৃশ্য দেখা যাবে না অস্ট্রিয়ার এই স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামের মাঝখানে যে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০০ গাছ!

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাছ লাগানো এই স্টেডিয়ামটির নাম ওয়্যারদারসি স্টেডিয়াম। ৩২ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি অস্ট্রিয়ার শহর ক্লাগেনফুর্টে অবস্থিত। ২০০৮ সালের ইউরো টুর্নামেন্টের বেশ কয়েকটি ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। কিন্তু আগামী মাস দেড়েক স্টেডিয়ামটিতে হবে না কোনো ফুটবল ম্যাচ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে ক্লাগেনফুর্ট কর্তৃপক্ষ। স্টেডিয়ামে গাছ লাগানোর প্রকল্পটির নাম রাখা হয়েছে ‘ফর ফরেস্ট’।

গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সামনে এই প্রকল্পের বিষয়বস্তু জানানো হয়। আগামী রোববার থেকে সাধারণ দর্শকদের জন্যও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই প্রকল্প।

স্টেডিয়ামে গাছ লাগানোর এই ধারণা প্রথম এসেছিল সুইস শিল্পী ক্লাউস লিটম্যানের মাথায়। ইট-পাথরের এই পৃথিবীতে সবুজ বনায়ন কতটা দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে, মানুষকে সেই বার্তা দেওয়ার তাড়না থেকেই এমন চিন্তা এসেছে তাঁর মাথায়। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ইট-পাথর-কংক্রিটের সঙ্গে গাছপালার এমন সুন্দর বৈপরীত্য আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না। যে পরিস্থিতিতে আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে, সেটি মোটেও স্বাভাবিক নয়।’

প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক গাছ উজাড় হওয়ার কারণে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, সেটির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন লিটম্যান। ছয় বছর আগেই শহর কর্তৃপক্ষকে এমন চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

ক্লাগেনফুর্ট কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ অবশ্য সমালোচনা করে বলেছেন, খেলা বন্ধ করে স্টেডিয়ামে গাছ লাগানোটা একটু ‘বাড়াবাড়ি’র পর্যায়ে পড়ে।

গাছগুলো অবশ্য স্থায়ীভাবে স্টেডিয়ামে রেখে দেওয়া হচ্ছে না। আগামী ২৭ অক্টোবর গাছগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে স্টেডিয়াম থেকে। স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করে থাকে অস্ট্রিয়ার দ্বিতীয় বিভাগে খেলা ক্লাগেনফুর্ট ফুটবল দল। এমন উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে ক্লাবটিও। যত দিন গাছগুলো স্টেডিয়ামে থাকবে, তত দিন তারা কাছেই অন্য একটি মাঠে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে।