Thank you for trying Sticky AMP!!

মস্কোকে বিচ্ছিন্নের চেষ্টা বৈশ্বিক খাদ্যসংকট আরও বাড়িয়েছে: রাশিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমাসহ জি-৭ জোটের দেশগুলোর প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট আরও বাড়িয়েছে।

গতকাল সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা বলেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বের শিল্পোন্নত সাতটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান এই জোটের সদস্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই জোটের অংশ।

জি-৭ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত শনিবার অঙ্গীকার করেন, তাঁরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে আরও প্রসারিত করবেন। তাঁরা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন। রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে উদ্ভূত খাদ্যঘাটতি কমাতে তাঁরা কাজ করবেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দীর্ঘস্থায়ী চ্যানেল থেকে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, লজিস্টিকগতভাবে প্রত্যাহারের প্রচেষ্টা কেবল অর্থনৈতিক ও খাদ্যসংকটকে বাড়িয়ে তুলছে।

জি-৭ একসময় জি-৮ ছিল। সেখান থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের জেরে রাশিয়াকে এই জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়।

প্রসঙ্গটি টেনে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিষয়টি উল্লেখ করা দরকার যে পশ্চিমা দেশগুলো একতরফাভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে খাদ্য সরবরাহের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই সংকটকে আরও জোরদার করেছে। সরবরাহ সংকটে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। এবার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সংস্থাটি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে মস্কোর ওপর সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের এ পদক্ষেপকে অর্থনৈতিক যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে অভিহিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সম্প্রতি পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পশ্চিমারাই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের সূত্রপাত করেছে।