Thank you for trying Sticky AMP!!

ম্যার্কেলের সহযোগিতা চাইল ইউক্রেন

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো, তাঁর দেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়ে মীমাংসার জন্য জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সহযোগিতা চেয়েছেন। জার্মানির একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

জার্মানির ‘বিল্ড' পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, ‘চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে মিনস্ক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনকে বাঁচিয়েছেন। সংকট নিরসনে সহযোগিতার জন্য আমরা আবারও আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর সহযোগী বন্ধুরাষ্ট্রগুলো এবং ন্যাটোকে অনুরোধ করব।’

২০১৪ সালের পর সম্প্রতি ফের রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত রোববার রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযুক্তকারী আজভ সাগরের কেরচ প্রণালিতে ২৪ জন নাবিকসহ ইউক্রেনের ৩টি জাহাজ আটক করার পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ–সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের সহযোগিতায় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া।

অবশ্য অনেক আগ থেকেই কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করার অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল।

এরই মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল উদ্ভূত সংকট নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন। ধারণা করা হয়, পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে শুধু আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, কোনো সামরিক সংঘাতের মাধ্যমে এই দুই দেশের সংকট নিরসন হবে না। তিনি উভয় দেশের নেতাদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া বুয়েনস আয়ার্সে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন ম্যার্কেল।

গত সোমবার ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ইউক্রেনের রাশিয়া সীমান্তে ও কৃষ্ণ সাগর উপকূলের কিছু অংশে ৩০ দিনের জন্য সামরিক শাসন জারি করেছে৷ ইউক্রেনের অনুরোধ সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।