Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাষ্ট্রকে দুষলেন এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

কুর্দি জঙ্গীদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রকে দুষলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কুর্দি বাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অপহৃত ১৩ জনকে শিরশ্ছেদ করেছে বলে দাবি করেছে তুরস্ক। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দাকে ‘উপহাস’ বলে মন্তব্য করেছেন এরদোয়ান।

গতকাল রোববার তুরস্ক অভিযোগ করে, নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) সেনা, পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন তুর্কিকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। কিন্তু পিকেকে পাল্টা দাবি করেছে, ইরাকে তুরস্কের সেনাদের অভিযান পরিচালিত হচ্ছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তিরা মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় এক বিবৃতি দিয়ে বলে, পিকেকের দ্বারা এই ১৩ জনকে হত্যার ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে ওয়াশিংটন এর নিন্দা জানায়। এরদোয়ান এ প্রসঙ্গে তাঁর দল একে পার্টির সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি প্রমাণ করে, পিকেকে ও সিরিয়ান কুর্দি ওয়াইপিজি বাহিনীর প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। আঙ্কারা মনে করে, পিকেকের শাখা ওয়াইপিজি বাহিনী।

তুরস্কের অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পিকেকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল। তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় গারা অঞ্চলে পিকেকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। অভিযান চলার সময় পিকেকের ৪৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এক বিবৃতিতে বলেন, এ অভিযান চালানোর সময় তিন তুর্কি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হন। অপহৃত ১২ জনকে মাথায় ও ১ জনকে কাঁধে গুলি করা হয়।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মালাটিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, ওই গুহায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন সেনা ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন, যাঁদের ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পৃথক ঘটনায় অপহরণ করা হয়েছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তুরস্কের গোয়েন্দাকর্মীরাও রয়েছেন বলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে পিকেকের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে তাদের কাছে থাকা কিছু বন্দী মারা গেছেন, যাঁদের মধ্যে তুরস্কের গোয়েন্দা, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তবে তারা কখনো কোনো বন্দীকে আঘাত করেনি বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।

পিকেকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৮৪ সালে বাহিনীটি তুরস্কের কুর্দি–অধ্যুষিত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তারপর থেকে ওই অঞ্চলে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

দুই বছর ধরে তুরস্ক ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কান্দিল পর্বত এলাকায় পিকেকের ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।