'হিটলার অভিবাদন' দেখানোয় দুজনের কারাদণ্ড
জার্মানির কেমনিজ শহরে গত আগস্টে নব্য নাৎসিদের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘হিটলার অভিবাদন’ দেখানোর দায়ে দুই ব্যক্তির কারাদণ্ড হয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে কেমনিজ শহরে এএফডি (জার্মানির জন্য বিকল্প দল), পেগিডা (পশ্চিমের ইসলামিকরণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ইউরোপীয় জনগণের আন্দোলন) ও প্রো-কেমনিজ নামের তিনটি সংগঠনের বর্ণবিদ্বেষী আগ্রাসী বিক্ষোভ থেকে ‘হিটলার অভিবাদন’ প্রদর্শন করা হয়।
২৫ আগস্ট শহরের কেন্দ্রের নগর মেলাতে মারামারি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩৫ বছর বয়স্ক এক জার্মানের মৃত্যুর ঘটনায় উগ্রবাদী দলগুলো শোক মিছিল করবে বললেও পরে তারা সহিংস হয়ে ওঠে।
নব্য নাৎসিদের সহিংস মিছিল থেকে ‘হিটলার অভিবাদন’ দেখানোর দায়ে কেমনিজের জেলা আদালত দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত দুই দিনে দুজনকে সাজা দেন।
কেমনিজের আদালত বলেছেন, এর আগে কয়েকবার দণ্ডিত ৩৩ ও ৩৪ বছর বয়স্ক দুই ব্যক্তিকে আট মাস ও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জার্মানিতে শাসনতান্ত্রিক আইন অনুযায়ী হিটলারের নাৎসি দলের সব ধরনের প্রকাশনা, পতাকা, প্রতীক ও অভিবাদন নিষিদ্ধ।
গতকাল শনিবার কেমনিজ শহরের একটি অনুষ্ঠানে নিজেদের স্বঘোষিত রক্ষী (বুরগারভের) পরিচয় দিয়ে উপস্থিত অভিবাসীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করতে চায় একদল লোক। এ সময় পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে এসে বুরগারভের দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
কেমনিজ শহরে দুই সপ্তাহ আগে নব্য নাৎসিদের সহিংস ঘটনার জের ধরে এখনো জার্মানির পার্লামেন্টে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে।
কেমনিজ শহরে নব্য নাৎসিদের বিক্ষোভ চলাকালে সাংবাদিক, ভিন্নমতের বিক্ষোভকারী ও বিদেশিদের ধাওয়ার মতো আচরণ নিয়ে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছিলেন, এমন ঘটনা জার্মানিতে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে, এক সাক্ষাৎকারে জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হান্স গ্রিহগ মাসেন ভিডিও দেখে নব্য নাৎসিদের হাঙ্গামাকে অন্যদের প্রতি বিদ্বেষ ও ধাওয়ার বিষয়গুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এমন বক্তব্যের জেরে বিভিন্ন মহল থেকে হান্সের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন