Thank you for trying Sticky AMP!!

হাসপাতালে নামানো হচ্ছে ত্রাণ।

প্রথমবারের মতো গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো উপত্যকাটিতে আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য।

জর্ডানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার পর গতকাল বুধবার দেশটির বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ গাজায় চার টন ওষুধ, খাবার ও জ্বালানি পৌঁছে দিয়েছে।
ত্রাণগুলো প্যারাসুটের মাধ্যমে আকাশ থেকে নামিয়ে উত্তর গাজার তাল আল-হাওয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচাবে ও হাসপাতাল সচল রাখবে।

এর আগে যুক্তরাজ্য স্থল ও সমুদ্রপথে গাজায় সহায়তা পাঠাত। প্রায় পাঁচ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধে উত্তর গাজা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে এখন আর স্থল ও সমুদ্রপথে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, তারা উত্তর গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, ত্রাণবাহী তাদের ট্রাকগুলো সহিংসতা ও ক্ষুধার্ত-মরিয়া লোকজনের ভিড়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে পড়ছিল।

Also Read: উত্তর গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

উত্তর গাজার লাখ লাখ বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে দক্ষিণে চলে যেতে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপরও প্রায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনি যথেষ্ট খাবার বা পানি ছাড়াই উত্তর গাজায় রয়ে গেছেন। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে যে এখানকার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারেন।

যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের পাঠানো চালানে ডিজেল, জরুরি চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য খাবার রয়েছে।

Also Read: উত্তর গাজায় আবারও বড় ধরনের হামলা

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দেশটি থেকে গাজায় ১২ লাখ ডলারের সহায়তা পাঠাতে তারা এ সপ্তাহের শুরুতে জর্ডানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তি সম্পর্কে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, চুক্তির আওতায় পাঠানো চিকিৎসার সরঞ্জাম ও খাবারসামগ্রীতে হাজারো রোগী উপকৃত হবেন। এ ছাড়া জ্বালানি–সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ওই হাসপাতালে জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রম সচল রাখতে সাহায্য করবে।

ক্যামেরন আরও বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি খুব খারাপ এবং আমাদের দ্রুত আরও সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন। গাজায় আমরা অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে আরও সহায়তা পাঠানোর সুযোগ পাওয়া যায় ও জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।’