Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় শস্যভর্তি ১৬টি জাহাজ

ওদেসার চেরনোমরস্ক বন্দরে পাহারা দিচ্ছেন এক ইউক্রেনীয় সেনা

ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরে শস্যভর্তি ১৬টি জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন যুদ্ধবন্দী নিহত হওয়া নিয়ে নতুন উত্তেজনা শুরুর মধ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। খবর আল-জাজিরার

শুক্রবারের ওই হামলাকে কেন্দ্র করে শস্য রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে শনিবার বলা হয়েছে, জাহাজগুলো অবশ্যই রওনা করবে।

ওদেসায় নিযুক্ত আল-জাজিরার প্রতিবেদক জন হেনড্রেন বলেছেন, ২ কোটি ৫০ লাখ টন শস্য আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাঠানো হবে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে স্বাক্ষরিত শস্য রপ্তানি চুক্তির আওতায় শস্যগুলো পাঠানো হচ্ছে।

হেনড্রেন আরও বলেন, ‘ইউক্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা এ জাহাজগুলোর জন্য একটি নিরাপদ পথ নিশ্চিত করা হয়েছে।’ শস্য রপ্তানির প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার জেলেনস্কি ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমরস্ক বন্দর পরিদর্শন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম জাহাজে চালান ওঠানো হচ্ছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের নেতার আশার বাণী সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যায়নি।

হেনড্রেন বলেন, জাহাজগুলো নোঙর করার ক্ষেত্রে যুদ্ধরত দেশগুলোর একে অপরের প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে আস্থা থাকা জরুরি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দোনেৎস্কের একটি আটককেন্দ্রে শুক্রবারের হামলার ঘটনায় সে আস্থা আরও কমে গেছে।

রাশিয়ার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘হিমার্স’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন ওই কারাগারে হামলা চালিয়েছে। ওই আটককেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের রাখা হয়েছিল।

তবে ওই হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কিয়েভ। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে তারা বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা থেকে বিরত থাকে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উল্টো দাবি করেছেন, রাশিয়াই ইচ্ছাকৃতভাবে ওই হামলা চালিয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিনিধি হেনড্রেন বলছেন, ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ দাঁড়িয়েছে।