Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন রুশ কমান্ডাররা: যুক্তরাষ্ট্র

সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার হাতে

ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কখন ও কীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত মাসে আলোচনা করেছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএস নিউজকে রুশ কমান্ডারদের ওই আলোচনা সম্পর্কে বলেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, রুশ বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওই আলোচনা রাশিয়ার প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্ত ছিলেন না। 

হোয়াইট হাউজ গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলে আসছে। তবে তাঁদের ভাষ্য মতে, রাশিয়ার এ ধরনের কোনো হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো লক্ষণ এখনো দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবিকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এই ঝুঁকি নিয়ে কয়েক মাস ধরে আমাদের উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েছে।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে এ বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করার অভিযোগ করেছেন। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে রুশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ক আলোচনা যথেষ্ট উদ্বেগের। 

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক ভাষণ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে জল্পনা–কল্পনা বাড়িয়ে দেয়। পশ্চিমাদের বিষোদগারের পাশাপাশি তিনি তখন বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকাগুলো রক্ষায় সব কিছু ব্যবহার করবেন তিনি। 

পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইলের’ অভিযোগ তুলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি সম্ভাব্য সব শক্তি প্রয়োগের যে কথা বলেছেন, তা ফাঁকা আওয়াজ নয়। তখন থেকে রুশ বাহিনীতে আধুনিক সমরাস্ত্রের সরবরাহ বাড়িয়ে তুলেছেন তিনি। 

Also Read: ইউক্রেনে কি ‘ট্যাকটিক্যাল’ পারমাণবিক বোমা হামলা চালাবেন পুতিন

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবিকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এই ঝুঁকি নিয়ে কয়েক মাস ধরে আমাদের উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েছে।’ 

যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার ভাগ্য ক্রমশ দোদুল্যমান অবস্থায় চলে যায় তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও বেড়েছে।            

Also Read: পুতিনের পারমাণবিক বোমা হামলার পরিণাম কী হতে পারে

এদিকে যুদ্ধে ইউক্রেন ‘ডার্টি বোমা’ ব্যবহার করতে পারে বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। রাশিয়ার এমন দাবি নাকচ করে এর নিন্দা জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেন বলছে, এটি অপ্রমাণিত দাবি। তারা বলছে রাশিয়া নিজেই এ ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররাও রাশিয়ার এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি এ যুদ্ধে ‘ডার্টি বোমা’ কিয়েভ ব্যবহার করতে পারে বলে মস্কোর শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। যদিও তিনি রাশিয়ার এমন দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেননি। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর কিছু ছবি প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে স্লোভেনিয়া সরকার বলছে ছবিগুলো ২০১০ সালের। ওই সময় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা থেকে ছবিগুলো নেওয়া হয়েছিল।

Also Read: রাশিয়া পারমাণবিক হামলা চালালে কী করা হবে, সে পরিকল্পনায় পশ্চিমারা

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ‘ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার ওয়েপন’ বা ‘সুনির্দিষ্ট কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র’ ব্যবহার নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। কারণ পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন যে, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় রাশিয়া হাতে থাকা সব অস্ত্র প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।

সাধারণত প্রচলিত বোমার চেয়ে এমন ধরনের পারমাণবিক বোমা আকারে অনেক বড়। এ অস্ত্রের ব্যবহারে বিস্ফোরণস্থল থেকে অনেক দূর পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ ঘটে ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক ক্ষতি হয়।

গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়িত্বে থাকা বাহিনীর মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন পুতিন। এটি দেখে মনে হয়েছিল বড় ধরনের কৌশলগত অস্ত্র দিয়ে শত্রুর পারমাণবিক আক্রমণের প্রতিশোধ নিচ্ছে। ওই মহড়ায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।