Thank you for trying Sticky AMP!!

অনলাইন গেম জিততে তরুণের আত্মহত্যা

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে শহরে ব্লু হোয়েলের মতো একটি অনলাইন গেমের বিভিন্ন ধাপ শেষ করতে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণ। পুলিশের বরাতে গতকাল শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

নিহত তরুণ পুনের লোনিখন্ড এলাকার দিবাকর মালি (২০) বলে শনাক্ত করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বাণিজ্যের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করার আগে দিবাকর একটি চিরকুট রেখে যান। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘খাঁচায় থাকা “ব্ল্যাক প্যান্থার”এখন মুক্ত। আর কোনো বাধাই তাকে আটকাতে পারবে না। সমাপ্ত।’

দিবাকর নিজেকে ‘কালো চিতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। অনলাইন খেলায় তাঁর কাজ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বার্তা। মারাঠি ও ইংরেজি ভাষায় হাতে লেখা চিরকুটটিতে একটি কালো চিতাবাঘের ছবি আঁকা ছিল। ছবির নিচে লেখা, ‘সূর্য আবারও উজ্জ্বলতা ছড়াবে।’

লোনিখন্ড পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তারা নিহত তরুণের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের বরাতে জানান, ধাপে ধাপে প্ররোচিত করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া ব্লু হোয়েলের মতো একটি অনলাইন সুইসাইড গেমে আসক্ত ছিলেন দিবাকর। গেমের কোনো ধাপ শেষ করতে গিয়েই তিনি গলায় দড়ি দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দিবাকর মালির মা তাঁর সন্তানের মুঠোফোন আসক্তির কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব মা–বাবার কাছে আমার আবেদন, সন্তানদের অবাধে মুঠোফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। আমি আমার ছেলে হারিয়েছি, আর কোনো মা–বাবার বুক যেন এভাবে খালি না হয়।’

ব্লু হোয়েল–জাতীয় সুইসাইড গেমগুলো অন্য সব অনলাইন গেমের মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ নয়। এই গেমে খেলোয়াড়ের কাছে লিখিত বার্তায় গেম প্রশাসকের নির্দেশনা আসে। সেখানে একটা একটা করে কাজের নির্দেশ বা চ্যালেঞ্জ থাকে। সে কাজটা করার পর ছবি তুলে বা ভিডিও করে গেম প্রশাসককে পাঠাতে হয়। এভাবে ৫০তম ধাপ বা ৫০তম দিনে সবশেষ নির্দেশটি আসে। এ নির্দেশ হলো আত্মহত্যা করার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগব্যাধি আন্তর্জাতিক শ্রেণিকরণ শাখা ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’কে একটি রোগ হিসেবে শনাক্ত করেছে। নিজেকে ডিজিটাল গেম বা ভিডিও গেমের বিভিন্ন চরিত্র মনে করা বা অন্যান্য কাজের চেয়ে গেমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া এই রোগের লক্ষণ।