Thank you for trying Sticky AMP!!

আসাম সরকার 'বাঙালি-বিদ্বেষী'.

এমএলএ: কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। ছবি: সংগৃহীত

আসামের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ অভিযোগ করেছেন, ভারতের আসামে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পরিচালিত রাজ্য সরকার বাঙালি–বিদ্বেষী। তাঁর মতে, অসমিরা হুমকি দিলেও রাজ্য সরকার নীরব। কিন্তু বাঙালিরা কিছু বললেই সরকার প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

উলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ‘প্রথম আলো’র সঙ্গে কথা বলার সময় বাঙালিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। আলোচনাপন্থী উলফা নেতারা আসামে বসবাসকারী বাঙালিদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে চলেছেন।

মৃণাল ১৯৮৩ সালে বাঙালি–বিদ্বেষী রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা বলেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কমলাক্ষ এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। মুঠোফোনে ‘প্রথম আলো’কে তিনি বলেন, ‘অধিকারের কথা বলায় আসামে বাঙালি ছাত্রনেতা সুবোধ বিশ্বাসকে ১৮ মাস জেল খাটতে হয়। অথচ বাঙালিদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়েও দিব্যি আছেন অসমিয়া নেতারা। এ থেকেই প্রমাণ হয়, সরকার বাঙালি–বিদ্বেষী।'

কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েও কমলাক্ষ নিজের দলের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসও বিজেপির মতো সংখ্যালঘুদের আবেগ নিয়ে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদের দাবিতে আসামে বাড়ছে বাঙালি–বিদ্বেষ। ছবি: সংগৃহীত

আসাম সাহিত্যসভার উদ্যোগে হিন্দু বাঙালিদের ১৭ নভেম্বরের জমায়েত বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা যৌথ সভা করেছেন। ঠিক করেছেন, ২৬টি সংগঠনের সম্মিলিত কর্মসূচি রাজ্যের শান্তির স্বার্থেই বাতিল করা হবে।

রাজ্য সরকার হিন্দু বাঙালিদের এ সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। উলফাসহ বিভিন্ন অসমিয়া সংগঠন সমাবেশ প্রতিহত করার হুমকি দেওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে। সমাবেশ বাতিল হওয়ায় সব মহলেই কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।

হিন্দু বাঙালিদের এ সমাবেশের বিরোধী ছিলেন বহু বাঙালিও। তাঁদের মতে, হিন্দুদের এ কর্মসূচি বাঙালিদের ঐক্যের পরিপন্থী। কমলাক্ষ বলেন, বিজেপিই হিন্দু-মুসলিমদের বিভেদ ঘটাতে এসব কর্মসূচিকে মদদ দিচ্ছে।