Thank you for trying Sticky AMP!!

উত্তর প্রদেশসহ ৪ রাজ্যে বিজেপি এগিয়ে, পাঞ্জাবে আম আদমি

রয়টার্স

ভারতের পাঁচ রাজ্যের এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে ‘মেগা নির্বাচন’ বা ‘সেমিফাইনাল’। কারণ, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এর চেয়ে বড় নির্বাচন আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল আটটায় ভোটের গণনা শুরু হয়েছে। শুরুতে পোস্টাল ব্যালট গোনা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬টি আসনে এগিয়ে আছে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার উদাহরণ খুব বেশি নেই। এর আগে কেবল একবার মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থের নেতৃত্বে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। তাই যোগীও আদিত্য ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। এ রাজ্যে বিধানসভার ৪০৩টি আসন আছে।

বিজেপি শাসিত উত্তরাখন্ডে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে এগিয়ে আছে বিজেপি। মোট ৭০ আসনের মধ্যে এখানে বিজেপি এগিয়ে আছে ৩৭টিতে। কংগ্রেস আছে ১৯টিতে। দেখা যাচ্ছে, আগের নির্বাচনের চেয়ে অনেক আসন হারানোর পথে আছে বিজেপি।

৪০ আসনের গোয়ায় ১৭ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে বিজেপি। কংগ্রেস এখানে এগিয়ে আছে ৫ আসনে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরেও এগিয়ে বিজেপি। রাজ্যের ১৬টিতে এগিয়ে আছে বিজেপি। আর কংগ্রেস ৮টিতে।

কংগ্রেস ও বিজেপিকে নয়, ভারতের পাঞ্জাবের মানুষ বেছে নিতে যাচ্ছে আম আদমি পার্টিকে, এটা প্রায় পরিষ্কার হয়ে গেছে। রাজ্যের ১১৭ আসনের মধ্যে ৭৮ আসনে এগিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এখানে এগিয়ে ১৩ আসনে।

দুই দিন ধরে যত বুথফেরত জরিপ প্রকাশিত হয়েছে, অধিকাংশেই উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বুথফেরত জরিপে পাঞ্জাবে এগিয়ে আম আদমি পার্টি (আপ)। গোয়া ও মণিপুরে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলা হয়েছে।

গতকাল বুধবারও প্রকাশিত সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) ও লোকনীতির জরিপ অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশে বিজেপি ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিপুলভাবে জয়ী হচ্ছে। সমাজবাদী পার্টি পাচ্ছে ৩৫ শতাংশ ভোট। বহুজন সমাজ পার্টির ভোট কমে হচ্ছে ১৫ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোট ৬ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩ শতাংশে। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে বিজেপি ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।