Thank you for trying Sticky AMP!!

উৎসবের মেজাজে নির্বিঘ্নে ভোট ত্রিপুরায়

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে উৎসবের মেজাজে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও বুথে বুথে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। ত্রিপুরা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। ছবি: এএফপি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে উৎসবের মেজাজে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভার ৫৯টি আসনের নির্বাচন পর্ব। এদিন ভারতীয় সময় বিকেল চারটার সময় ভোট গ্রহণ শেষ হলেও বুথে বুথে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার রাত পর্যন্ত বেশ কিছু বুথে ভোট গ্রহণ চলবে।

গতবার ভারতের মধ্যে ত্রিপুরাতেই ভোটের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৬৫ শতাংশ। তবে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এবার ভোটের হার ৯০ শতাংশের ওপরে যেতে পারে।

রোববার সকাল সাতটায় রাজ্যের ৫৯টি কেন্দ্রের ৩০ হাজার ১৭৪টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু বৈদ্যুতীন ভোটযন্ত্র (ইভিএম) বিকল হওয়ার কারণে বহু জায়গায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়। এ ঘটনায় ভোর থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের পাশাপাশি বিরক্তি প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলগুলোও। সকালে রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত বলেছেন, ৪ শতাংশ ইভিএম বিকল ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো পাল্টে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজকের নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার। ভোট দিয়েছেন সব মিলিয়ে ২৫ লাখের বেশি ভোটার। প্রার্থী রয়েছেন ২৯২ জন। এঁদের মধ্যে ২৩ জন নারী। এবারই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের নির্বাচনী তালিকায় আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের মোট ১১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।

এবার ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বামদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। বামেরা টানা ২৫ বছর ধরে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় রয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলও রয়েছে লড়াইয়ের ময়দানে। ত্রিপুরায় ভোট গণনা হবে আগামী ৩ মার্চ।

এদিন স্ত্রী পাঞ্চালী ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেবও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে আসেন। বিভিন্ন বুথের পাশাপাশি রাস্তাঘাটেও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহলদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।