Thank you for trying Sticky AMP!!

এনআরসিতে আশ্বাস দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। আগামী ১ অক্টোবর কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় এনআরসি নিয়ে কথা বলবেন অমিত শাহ। হিন্দু ভোটারদের আশ্বস্ত করতে ও তাঁদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে। এর মাধ্যমে রাজ্যে আসা শরণার্থী ও উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হবে।

এনআরসি নিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তৃণমূল বলছে, এই রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। বিজেপি চাইছে, এনআরসির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের রাজ্য থেকে সরিয়ে দিতে। এতে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু উদ্বাস্তু ও শরণার্থী হয়ে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ।

গতকাল সোমবার মেদিনীপুরের চাঁদড়ায় এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে হিন্দুরা আসুক না কেন, তারা ভারতেই থাকবে। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে।’ তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে যারা কথা বলবে, তাদেরও ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়ানো হবে।’

দিলীপ ঘোষের এই ঘোষণায় এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারেননি রাজ্যের শরণার্থীরা। তাঁরা এখনো ভিড় জমাচ্ছেন রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড হালনাগাদ বা সংশোধন করতে অথবা নতুন কার্ড করতে। সব জেলা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত অফিসের সামনে লাইন দিচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিককে ভোটার কার্ড হালনাগাদ করে রাখতে বলেছেন। যাঁরা ভোটার, তাঁদের কাউকে এই রাজ্য থেকে তাড়াতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

তর্পণ অনুষ্ঠানে জেপি নাড্ডা
বিজেপির নিহত ৮০ কর্মীর আত্মার শান্তি কামনায় কলকাতায় আসছেন দলের সর্বভারতীয় নির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও অন্যান্য কারণে বিজেপির নিহত কর্মীদের আত্মার শান্তির জন্য আয়োজিত তর্পণ অনুষ্ঠানে আসছেন তিনি।

জেপি নাড্ডা মহালয়ার দিন অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর গঙ্গা নদীর বাগবাজার ও প্রিন্সেপ ঘাটে আয়োজিত এই তর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এই তর্পণ অনুষ্ঠানে ওই ৮০ শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। নাড্ডা কথা বলবেন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

এই তর্পণ অনুষ্ঠানের জন্য নিয়ে আসা হবে ৮০টি কলস। আর তা মুড়ে দেওয়া হবে লাল সালুতে। প্রতিটি কলসের গায়ে লাগানো থাকবে শহীদদের ছবি। এই ৮০ শহীদের জন্য যাঁরা তর্পণ করবেন, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ধুতি আর গামছা। এ ছাড়া ওই শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পূজার উপহার ও নতুন কাপড়চোপড়।