Thank you for trying Sticky AMP!!

কারচুপির অভিযোগ, পশ্চিম ত্রিপুরার ১৬৮ কেন্দ্রে ফের ভোট

সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা শ্রীরাম তরণীকান্ত। ছবি: প্রথম আলো

ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ১০ শতাংশেরও বেশি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনার। আজ বুধবার সকালে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) শ্রীরাম তরণীকান্ত এ তথ্য জানান। রজনীকান্ত বলেন, পশ্চিম ত্রিপুরার ১ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৮টিতে ১২ মে ফের ভোট নেওয়া হবে।

১১ এপ্রিল ভারতের প্রথম দফা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়। কিন্তু বিরোধী দলের তরফে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস ও সিপিএম উভয় দলই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।

সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে আজ পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চার জেলার আটটি মহকুমার ১৬৮টি কেন্দ্রে ফের ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোট হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গণনা হবে ২৩ মে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে সিইও জানান, পর্যাপ্ত আধা সেনা মোতায়েন করেই ভোট নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ত্রিপুরায় এর আগে কখনো এতগুলো আসনে নতুন করে ভোট গ্রহণের রেকর্ড নেই। তবু কমিশনের নির্দেশে খুশি নন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি পুরো কেন্দ্রেই ফের ভোট নিতে হবে। এই দাবিতে তাঁরা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

বিজেপি অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অখুশি নয়। দলের প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো। পুরোটাই বিরোধীদের চক্রান্ত।’

অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী শঙ্কর প্রসাদ দত্ত দিল্লি থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। শঙ্কর প্রসাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্টকেই অমান্য করেছে। প্রসঙ্গত, রিটার্নিং অফিসারের প্রতিবেদনেই ৪৩৩টি কেন্দ্রে অনিয়ম প্রকাশ পায়।

কংগ্রেসও একই কথা বলছে। দলের প্রার্থী সুবল ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কথায় চলছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।’ তবে ১২ মে ভোটেও অংশ নেবেন বিরোধীরা। জানান দুই বিরোধী প্রার্থীই।

পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ মে ভোট দেবেন ১ লাখ ৪১ হাজার ২৫১ জন ভোটার।