Thank you for trying Sticky AMP!!

কারফিউর মধ্যে বাইরে যাওয়ায় কিশোরকে তুলে নিয়ে হত্যা

লাশ

বাজারে সবজি বিক্রি করছিল কিশোরটি। করোনা পরিস্থিতিতে জারি করা কারফিউর মধ্যে কেন বাড়ির বাইরে গেল, সেই অভিযোগে পুলিশ তাকে অনেকগুলো চড়থাপ্পড় দেয়। একপর্যায়ে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে উন্ন শহরের বাংয়ারমাও এলাকায় গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত ১৭ বছর বয়সী কিশোরটির নাম ফয়সাল হোসেন।

ফয়সালের চাচা মিরাজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে পুলিশ স্টেশন নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়।

উন্ন শহরের এসপি আনন্দ কুলকারনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, করফিউর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ফয়সালকে সবজি বাজার থেকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। তখন বেলা দুইটার মতো হবে। বাজার আর স্টেশনের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। সে এক ঘণ্টার বেশি সময় পুলিশ স্টেশনে ছিল না। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে মারা যায়। চিকিৎসক জানিয়েছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক সুনিল কুমার বলেন, ‘ফয়সালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখানে আনা হয়েছিল। কিশোরটি বলেছিল, তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। তার অবস্থা দেখে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার্ড করি। কিন্তু গাড়ি আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। সে আহত ছিল কি না, তা দেখার সুযোগ পাইনি আমরা। তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, তাই আগে তার সুচিৎসা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করেছি।’

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এ ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থেকে অপরাধীদের শাস্তি ও নিহত কিশোরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাৎক্ষণিক দুই কনস্টেবল ও একজন হোম গার্ড (আধা সামরিক পুলিশ বাহিনী, যারা পুলিশের সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন) সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়।

উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য ২৪ মে সকাল সাতটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে।