Thank you for trying Sticky AMP!!

কাশ্মীরে কিছু স্কুল খুলল

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে সরকারি অফিস ও কিছু স্কুল আজ সোমবার খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ঝামেলা এড়াতে দুই সপ্তাহব্যাপী যে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছিল, ধীরে ধীরে তা শিথিল করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারি অফিস ও কিছু স্কুলের কার্যক্রম আজ শুরু হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, কাশ্মীর উপত্যকায় দুই-তৃতীয়াংশ টেলিফোনে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাও পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ কয়েকশ রাজনীতিবিদ এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার শহীদ ইকবাল বলেন, সেখানকার ৯০০ প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি আজ থেকে চালু হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে অল্প কিছু এলাকায় স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। যেসব স্কুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হয়েছে, সেখানকার অভিভাবকদের শিশুদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। বাচ্চাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের।’

তবে এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, সকালে খোলার কিছুক্ষণ পরেই অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রীনগরের খ্যাতনামা এক স্কুলের কর্মচারী বলেন, শিক্ষক ও কর্মীদের কয়েকজন এলেও শিক্ষার্থীরা কেউ আসেনি।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার তথ্যানুযায়ী, বেমিনার পলিসি পাবলিক স্কুলসহ কেন্দ্রীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীর দেখা পাওয়া গেছে।

শনিবার রাতভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে কাশ্মীরের নাগরিকদের। গুজব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে জম্মুর বেশ কিছু অংশে এখনো মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান সচিব রোহিত কানসাল বলেছেন, পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর আরও কয়েক ঘণ্টার জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। দুটি বা তিনটি সংঘর্ষের ঘটনার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে এ ঘটনায় মাত্র দু'জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

কাশ্মীরের অধিবাসীদের চলাচল ও ইন্টারনেট বা ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর কত দিন চলবে— এমন প্রশ্নের উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিকের উপদেষ্টা কে বিজয়া কুমার বলেন, ‘২০১০ সালে প্রায় ১১০ জন মারা যায়। এবার জনগণের জান বাঁচানোই আমাদের প্রধান কাজ।’ তিনি বলেন, খুব শিগগিরই শতভাগ টেলিফোন চালু করে দেওয়া হবে।

শ্রীনগরে সরকারি অফিস আর স্কুল চালু শুরু হলেও দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে। রাস্তাগুলোর বেশির ভাগই এখনো জনশূন্য।