Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিরের মৃত্যুতে গ্রামবাসীর শোক মিছিল!

কুমিরটির নাম ‘গঙ্গারাম’। গ্রামবাসী ভালোবেসে এ নাম দিয়েছিল। কারণ, কুমিরটি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের পুকুরটিতে বসবাস করলেও কারও ক্ষতি করেনি কখনো। ওই পুকুরে গ্রামের শিশুরাও সাঁতার কাটত। গ্রামবাসীর বিশ্বাস ছিল, কুমিরটি গ্রামটিকে বিপদ–আপদ থেকে রক্ষা করত। তাই কুমিরটি দেবতারূপে সেখানে পূজিত হয়ে আসছিল। গ্রামে বিপদ এলে গ্রামবাসী পুকুরপাড়ে এসে প্রার্থনা জানাত ওই কুমিরের কাছে।

গত মঙ্গলবার সেই গঙ্গারাম নামের কুমিরটির মৃত্যু হয়। গ্রামে সে খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নামে। মৃত কুমিরকে নিয়ে শোক মিছিল করে গ্রামবাসী। ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বেমেত্রা জেলার বাওয়া মোহতারা গ্রামের প্রধান পুকুরটিতে বাস ছিল এই গঙ্গারামের।

গ্রামবাসীর মাধ্যমে কুমিরের মৃত্যুর খবর যায় বন দপ্তরে। বন কর্মকর্তারা এসে কুমিরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত কুমিরকে নিয়ে শোক মিছিল বের করে গ্রামের মানুষ। সেই মিছিলে অংশ নেয় কমপক্ষে পাঁচ শ গ্রামবাসী। পরে কুমিরটিকে পুকুরপাড়েই মাটিচাপা দেওয়া হয়।

গ্রামবাসীর ভাষ্য, কুমিরটির বয়স ১৩০ বছর হবে।

গ্রামের প্রধান সরপঞ্চ মোহন সাহু বলেছেন, এই গ্রামের ‘ভগবান’ ছিল এই গঙ্গারাম। মারা গেল ১৩০ বছর বয়সে। কোনো দিন কাউকে কামড় দেয়নি, আক্রমণ করেনি, আঘাত দেয়নি। শিশুরাও ভালোবাসত কুমিরটিকে। কুমিরটিও গ্রামে পূজিত হতো দেবতারূপে। এই গঙ্গারামের মৃত্যুর দিনে গ্রামবাসী তাদের গৃহের চুলা জ্বালায়নি। যোগ দেয় শোক মিছিলে। মোহন সাহু আরও বলেছেন, কুমিরটির স্মৃতি রক্ষার্থে পুকুরপাড়ে নির্মিত হবে একটি স্মারক স্তম্ভ।

বেমেত্রা জেলার বন কর্মকর্তা আর কে সিনহা বলেছেন, কুমিরটি ছিল গ্রামের সবার প্রিয়। এর ওজন ছিল ২৫০ কেজি। লম্বায় ১১ ফুট। তার মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।